বাইটড্যান্সের প্রস্তাবে খুশি নন ট্রাম্প
হোয়াইট হাউসের ২০ সেপ্টেম্বরের 'ডেডলাইন' এসে পড়ল। প্রেসিডেন্টের ফতোয়া মেনে মার্কিন মুলুকে পরিষেবা বজায় রাখতে কোনও মার্কিন সংস্থার হাতেই সে দেশে সংস্থার মালিকানা তুলে দিতে হবে। কিন্তু মালিকানা মার্কিন সংস্থার হাতে তুলে দিতে রাজি নন বাইটড্যান্স কর্তৃপক্ষ। বদলে ওর্যাকলের মতো বৃহৎ মার্কিন সংস্থাকে প্রযুক্তি সহায়ক হিসেবে নিয়ে সংস্থার মূল কার্যালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে চলে আসার যে বিকল্প প্রস্তাব কমিটি অন ফরেন ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্য ইউনাইটেড স্টেটস (সিএফআইইউএস)-এর কাছে বাইটড্যান্স কর্তৃপক্ষ দিয়েছিলেন, তাতে মোটেই 'খুশি' নন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট। বুধবার তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সিএফআইইউএস-এর কাছে যে এই মর্মে প্রস্তাব এসেছে, তা তিনিও শুনেছেন। পুরো বিষয়টি বিবেচনা করে এখনও তাঁকে সরকারি ভাবে ব্রিফ করেননি ট্রেজারি বিভাগের কর্তারা। যদিও, বাইটড্যান্সের তরফে এই প্রস্তাব এলে তিনি যে তা অনুমোদন করতে চান না, তাও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, এই প্রস্তাবে রাজি হলে ইতিহাসে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ন্যাশনাল সিকিওরিটি রিভিউ বিষয়ে জারি করা কোনও প্রেসিডেন্টের এগজিকিউটিভ অর্ডারে সংশোধনী আনতে হত, বলে জানিয়েছেন মার্কিন আইনবিশেষজ্ঞরা। অবশ্য তাঁরা এও জানিয়েছেন, বাইটড্যান্সের দেওয়া প্রস্তাবে রাজি হলে তা ইতিহাসে প্রথম হত না।
এর আগে ২০০৫ সালে চিনা সংস্থা লেনোভো মার্কিন সংস্থা আইবিএম-এর পার্সোনাল কম্পিউটার ব্যবসা কিনেছিল। একই ভাবে ২০১৩ সালে জাপানের সফটব্যাঙ্ক অধিগ্রহণ করেছিল মার্কিন ওয়্যারলেস ক্যারিয়ার স্প্রিন্ট-কে। দুই ক্ষেত্রেই সিএফআইইউএস-এর নির্দেশিত পথে মার্কিন মুলুকে ব্যবসার বোর্ড অফ ডিরেক্টর্স-এ মার্কিন প্রতিনিধির সংখ্যাগরিষ্ঠতা-সহ একাধিক নিয়ম মেনেছিল বিদেশি সংস্থাদু'টি। বাইটড্যান্সও তাদের আবেদনে একই পথে হেঁটেছে বলে জানিয়েছেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ সিএফআইইউএস আধিকারিক।