![](https://media.priyo.com/img/500x/https://samakal.com/uploads/2020/09/online/facebook-thumbnails/pompe-samakal-5f60a05553d6f.jpg)
ইসরায়েল-বাহরাইন সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে সৌদি প্রভাব!
আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্থাপনের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত হয়ে মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। সফরের উদ্দেশ্য ছিল, আমিরাতের মতো অন্য দেশগুলোকেও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহিত করা। তবে বাহরাইনের বাদশাহ পম্পেওকে সাফ বলে দেন, তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তাই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব নয়। পম্পেও ব্যর্থমনোরথ হয়ে ফিরে যান। কিন্তু তার মাত্র কয়েকদিন পরেই বাইরাইন সবাইকে চমকে দিয়ে জানিয়ে দিল, তারা ইহুদি রাষ্ট্রটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি। গত সপ্তাহে ওই ঘোষণার মধ্য দিয়ে এখন তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক বিনির্মাণে এগিয়ে যাওয়া সর্বশেষ দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস, আরো দেশ এগিয়ে আসবে তাদের পথ ধরে।
২৬ বছর আগে বাহরাইন একটি ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়েছিল। এরপর দীর্ঘ নীরবতার পর গত সপ্তাহে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কস্থাপনকারী শেষতম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল। পম্পেওর সঙ্গে বৈঠকে বাহরাইন যতই ‘না’ ‘না’ করুক, শেষ পর্যন্ত যে ব্যাপারটা ঘটবে, তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছিল বিশ্লেষকদের মধ্যে। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স-এর প্রফেসর ইয়ান ব্ল্যাক বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়গুলোতে যুক্তরাষ্ট্র নেভির আঞ্চলিক সদর দপ্তর ও সৌদি আরবের সঙ্গে সীমান্তসংযুক্ত দেশ বাহরাইন ইসরায়েলের ব্যাপারে আগের সে অনড় মনোভাব থেকে অনেকটা সরে এসেছিল।