মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ সরকারি করার সব ধাপ সম্পন্ন
.tdi_2_5f6.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_5f6.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});নগরীর খুলশী থানাধীন চট্টগ্রাম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৪০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ১৯ জন কর্মচারীর চাকরি আত্তীকরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ১৯ আগস্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব গোপাল চন্দ্র দাসের স্বাক্ষরে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। কলেজ পর্যায়ের ৩২ জন ও স্কুল পর্যায়ে ৮ জন শিক্ষকের চাকরি আত্তীকরণ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। একই সাথে ১৯ জন কর্মচারীর চাকরিও আত্তীকরণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণের সব প্রক্রিয়া (ধাপ) সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক। আর সরকারিকরণ সম্পন্নের পর প্রতিষ্ঠানটির নাম এখন ‘চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ’ হিসেবে পরিবর্তিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আলমগীর চৌধুরী। এর আগে ‘চট্টগ্রাম মডেল স্কুল এন্ড কলেজ’কে সরকারিকরণ করে ২০১৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষামন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সারাদেশের (চট্টগ্রামের ১টি সহ) মোট ১২টি মডেল স্কুল এন্ড কলেজকে সরকারিকরণ করা হয়। তবে ২০১৭ সালে সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি আত্তীকরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি হল চলতি বছরের ১৯ আগস্ট। সরকারিকরণ সম্পন্ন হওয়ায় এখন থেকে সরকারি সকল সুবিধা ভোগ করবে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। একই সাথে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো বেতন-ফি আর দিতে হবেনা শিক্ষার্থীদের। প্রতিষ্ঠানটিকে এখন থেকে সরকারি হারেই (সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী) বেতন-ফি আদায় করতে হবে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক। এতদিন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো বেতন-ফি আদায় করা হতো এ প্রতিষ্ঠানে। তবে এখন থেকে সরকারি অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতোই সরকারি হারেই বেতন-ফি নেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন অধ্যক্ষ আলমগীর চৌধুরী। এবার একাদশে ভর্তির ক্ষেত্রেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরকারি হারে বেতন-ফি নেয়া হবে বলে জানান অধ্যক্ষ। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মহানগরে বর্তমানে সরকারি মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে ৮টি। সরকারি কলেজের সংখ্যা ৬টি। আর একটি মাত্র স্কুল এন্ড কলেজের (কলজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ) সাথে এখন আরো একটি (চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ) যুক্ত হলো। এতদিন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত চট্টগ্রাম মডেল স্কুল এন্ড কলেজে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় (১ম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ) পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে প্রতিষ্ঠানটিতে। এর মধ্যে কলেজ পর্যায়ে তিন বিভাগে (মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান) প্রায় ৮০০ এবং মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ১৬০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। বর্তমানে স্কুল পর্যায়ে ৮ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ৩২ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আলমগীর চৌধুরী। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়- সরকারি একটি প্রকল্পের আওতায় একই সময়ে সারাদেশে মোট ১২টি (চট্টগ্রামেরটিসহ) মডেল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপন করা হয়। নগরীর খুলশী থানাধীন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পার্শ্ববর্তী এলাকায় সরকারিভাবে গড়ে তোলা হলেও প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা রাখা হয় বেসরকারি পর্যায়ে। আর ব্যবস্থাপনা বা পরিচালনার ভার দেয়া হয় প্রশাসন ও শিক্ষাপ্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের হাতে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার। আর সদস্য হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রামের জেলাপ্রশাসক ও মাউশি (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর)’র আঞ্চলিক উপ-পরিচালক। সরকারিকরণ করে প্রজ্ঞাপন জারির পর প্রতিষ্ঠানটির এ পরিচালনা পরিষদ বিলুপ্ত হয়ে পড়ে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মডেল স্কুল এন্ড কলেজসহ সরকারিকরণ করা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় রয়েছে- ঢাকার মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, রুপনগর মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, লালবাগ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, শ্যামপুর মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, রাজশাহী মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, খুলনা মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, যশোর শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এবং রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ।.tdi_3_fbf.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_fbf.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.