আবরারের মৃত্যু: আনিসুল হকসহ ৫ জনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হকসহ ৫ জনের মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এ আদেশ দেন।আরও যাদের মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তারা হলেন- কবির বকুল, শুভাসিষ প্রামাণিক শুভ, মুহিতুল আলম পাভেল ও শাহ পুরান তুষার। সম্পত্তি ক্রোকের পাশাপাশি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০শে সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক আসিফ এ তথ্য জানান।২০১৯ সালের ৬ই নভেম্বর সিএমএম আদালতে আবরারের বাবা মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১লা নভেম্বর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে কিশোরদের মাসিক সাময়িকী কিশোর আলোর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে নাইমুল আবরার যান। অনুষ্ঠান চলাকালে সাড়ে তিনটার দিকে আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অনুষ্ঠানের জন্য যে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা হয় তা অরক্ষিত ছিল।অভিযোগে আরও বলা হয়, অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার যে নিরাপত্তা ও সাবধানতার প্রয়োজন ছিল তা নেয়া হয়নি। ঘটনাস্থলের খুব কাছেই সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থাকলেও আবরারকে মহাখালী ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। নাইমুল আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট পৃষ্ট হওয়ার পর বিকেল ৪টা ৫১ মিনিটে চিকৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আবরারের মৃত্যুর সংবাদ কিশোর আলো এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ গোপন করে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চালিয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ আবরারের মৃত্যুর বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়নি। আবরারের পরিবার এক সহপাঠীর মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর পান। যা একটি পরিকল্পিত, গাফিলতি এবং অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড ।মামলার আসামিরা হলেন- দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল, হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শুভাশীষ প্রামাণিক, নির্বাহী শাহপরাণ তুষার, কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক মহিতুল আলম, ডেকোরেশন ও জেনারেটর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের জসীম উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হাওলাদার।