প্রদীপের রোষানলে পড়ে ইয়াবা মামলার আসামি
.tdi_2_41d.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_41d.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের রোষানলে পড়ে নগরীর মুরাদপুরের বাসিন্দা আলী আকবর হয়েছিলেন ইয়াবা মামলার আসামি। নয় মাস কারাভোগের পর সম্প্রতি তিনি জামিনে মুক্তি হয়েছেন। রাউজান উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের মৃত আবু হায়াতের ছেলে আকবর দীর্ঘসময় প্রবাস জীবন কাটিয়ে ২০১২ সালে দেশে ফিরে নগরীতে জায়গার ব্রোকার হিসেবে কাজ শুরু করেন। আকবর অভিযোগ করেছেন, ২০১৪ সালে ওসি প্রদীপ তার বোন রত্নাবালা প্রজাপতির হয়ে মুরাদপুরে অর্পিত সম্পত্তি আইনে পড়া একাধিক জায়গা দখল করতে গেলে সেখানকার একটি বিরোধপূর্ণ জায়গা নিয়ে তার সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ওই সময় জায়গাটি বেদখলমুক্ত করতে তিনি ব্রোকার হিসেবে মূল মালিককে বিভিন্নভাবে আইনি লড়াইয়ে সহযোগিতা করেছিলেন। ২০১৭ সালে জায়গাটি দখলমুক্ত হলে ওসি প্রদীপ তার ওপর ক্ষুব্ধ হন বলে জানান আকবর। এর খেসারত হিসেবে টেকনাফে ওসি থাকাকালীন বায়েজিদ থানার যোগসাজসে ২০১৯ সালে ৩ হাজার ২শ’ পিস ইয়াবাসহ মাদকের একটি ‘মিথ্যা’ মামলায় তাকে ফাঁসানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। আকবর বলেন, ২০১৪ সালে মুরাদপুরে ওসি প্রদীপ বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে এক রাতেই ১৭ গণ্ডার মতো জায়গা দখলে নিয়েছিলেন। এরমধ্যে একটি জায়গা ওসি প্রদীপের বোন রত্নাবালা প্রজাপতির নামে দখলে নেন। এটা নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগের পরও কোনো সুরাহা হয়নি। আইনি লড়াইয়ে জায়গাটি বেদখলমুক্ত হলে ওই জায়গাটি ছেড়ে দিতে হয়েছিল ওসি প্রদীপকে। গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর বায়েজিদ থানাধীন বালুচরা এলাকার শিউলি পেট্রোল পাম্পের একটি ভবনের সামনে ৩ হাজার ২শ’ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে আকবরের বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এসআই রনি তালুকদার বাদী হয়ে দায়ের করা ওই মামলায় তখন তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে ছিলেন সিএমপি’র আরেক সমালোচিত পুলিশ কর্মকর্তা বায়েজিদ থানার এসআই গোলাম মো. নাসিম হোসেন। আকবর জানান, গত বছর ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় লাকী আক্তার নামে পূর্ব পরিচিত এক নারী জেলফেরত স্বামী তাকে মারধর করেছে জানিয়ে বালুচরার বাসায় ডাকেন আকবরকে। ওইদিন মহিউদ্দিন নামে দুবাইপ্রবাসী এক বন্ধুকে নিয়ে লাকী আক্তারের বাসায় যান। ওই বাসায় ঢুকে আকবর লাকী ও তার এক সন্তান এবং এক কাজের মেয়েকে দেখতে পান। ঘরের কিছু জিনিসপত্র এলোমেলো পড়ে ছিল। কয়েক মিনিট পর বায়েজিদ থানা পুলিশের একটি টিম সেখানে আসে। পুলিশ সেখানে আকবর ও তার বন্ধুকে আসার বিষয়ে প্রশ্ন করলে লাকী আক্তারের সাথে পূর্ব পরিচয়ের কথা জানান তিনি। কিন্তু লাকী আক্তার পুলিশকে জানান তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের জন্য আকবর বন্ধু নিয়ে এসেছে তার বাসায়। আকবর তখনই বুঝতে পারেন তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। পরে তাদের দু’জনকে ধরে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আকবর বলেন, রাতে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর সকাল পর্যন্ত বুঝতে পারিনি আমার নামে মাদকের মামলা হয়েছে। পরদিন সকালে কোর্টে তোলার আগে আমাকে যখন একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে বলা হয়েছিল, তখনই জানতে পারি আমার নামে ইয়াবার একটি ‘মিথ্যা’ মামলা দেয়া হয়েছে। এসবের পেছনে ওসি প্রদীপের হাত ছিল বলে দাবি করেন তিনি। ওই সময় তার বন্ধু মোটা অংকের টাকা দিয়ে থানা থেকে ছাড়া পান বলে জানান আকবর। আকবর বলেন, তাকে ফাঁসাতে ওসি প্রদীপের নির্দেশে তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে সেদিন এই ঘটনা সাজিয়েছিল। দীর্ঘ ৯ মাস জেল খাটার পর জুলাইয়ের শেষের দিকে তিনি জামিনে বেরিয়ে এসেছেন। সন্তানদের ভবিষত্যের কথা চিন্তা করে ইয়াবা দিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় তাকে ফাঁসানোর ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে গতকাল তিনি আজাদীকে জানিয়েছেন। এদিকে ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ থানার একটি জিডি (নং-৮৬১) মূলে তৎকালীন পাঁচলাইশ থানার তৎকালীন ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ ওসি প্রদীপ তার বোনের হয়ে জায়গা দখল করার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।.tdi_3_df4.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_df4.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});