শরতের এই শুভ্রতায়

দৈনিক আজাদী প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২০, ১০:৪২

.tdi_2_3f6.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_3f6.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});ঋতু বদলের সাথে সাথে প্রকৃতি রং বদলায়। হাজির হয় বৈচিত্র্য নিয়ে। প্রকৃতির বৈচিত্র্যের সাথে আমাদের মনেও বৈচিত্র্য আসে। সৌন্দর্যের তালিকায় শরতের আলাদা কদর রয়েছে। অন্য যেকোনো ঋতুর তুলনায় এই ঋতুর বৈশিষ্ট্য একটু ভিন্ন। সৃষ্টিশীল মানুষ নানাভাবে তুলে এনেছেন এই ঋতুকে। বারো মাস আর ছয় ঋতু-এই তো বাংলার প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য। বাংলা মায়ের নতুন নতুন রূপ তার সন্তানদের মুগ্ধ করে। তাই তো কবি বলেছেন, ‘তুমি এই অপরূপ রূপে বাহির হলে জননী’। ঋতুর পালাবদলে এখন চলছে শরৎকাল। আকাশে পেঁজা তুলোর মতো সাদা মেঘমালা ওড়ে। ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ ভাসতে থাকে সারা দিন। আবার কখনো মুখ গোমড়া হয়ে আসে আকাশের। শরৎ আসে মূলত মেঘ-রৌদ্রের লুকোচুরির ভেতর। কখনো ঝুম বৃষ্টি, কখনো কাঠফাটা রোদ্দুর। শরতের আকাশ কখনো ধোয়া-মোছা, পরিচ্ছন্ন হয় না। সে তার নীলচে বুকে ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের আবরণকে ঢেকে রাখতে চায়। এক কথায় স্বচ্ছ, নির্মল এক ঋতুর নাম শরৎ। শরৎ মূলত শুভ্রতার প্রতীক, পবিত্রতার চিহ্ন। শরৎ মানেই নদীর তীরে কাশফুল, গাছে গাছে শিউলি, বেলি, জুঁই, শেফালি, মালতি, টগর, হাসনাহেনা আর বিলে-ঝিলে শাপলা ফুলের সমারোহ। সাথে পাকা তালের মিষ্টি ঘ্রাণ। তাল দিয়ে তৈরি করা পিঠা, পায়েস আর ক্ষেতে ক্ষেতে আমন ধানের বেড়ে ওঠা চারা। শরতের আকাশে যেন শুভ্রতার ফুল ঝরে। শারদসম্ভার নিয়ে রচিত হয়েছে তাই অসংখ্য কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ। চর্যাপদের পদকর্তা থেকে শুরু করে আজকের তরুণতম কবির রচনায় শরৎকাল তার নান্দনিক ব্যঞ্জনা নিয়ে উদ্ভাসিত। বৈষ্ণব সাহিত্যে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। ভাদ্র মাসকে নিয়ে বৈষ্ণব পদাবলীর পদটি সম্ভবত বিদ্যাপতি রচিত রাধা বিরহের সর্বশ্রেষ্ঠ পদ। মহাকবি কালিদাসও শরৎ বন্দনায় ছিলেন অগ্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘প্রিয়তম আমার, ঐ চেয়ে দেখ, নববধূর ন্যায় সুসজ্জিত শরৎ কাল সমাগত।’ কবি ‘ঋতুসংহার’ কাব্যে শরৎকাল বিষয়ে লিখেছেন, ‘কাশ ফুলের মতো যার পরিধান, প্রফুল্ল পদ্মের মতো যার মুখ, উন্মত্ত হাঁসের ডাকের মতো রমণীয় যার নূপুরের শব্দ, পাকা ধানের মতো সুন্দর যার ক্ষীণ দেহলতা, অপরূপ যার আকৃতি সেই নব বধূর মতো শরৎকাল আসে।’ প্রকৃতি প্রেমী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও শরৎ নিয়ে প্রচুর কবিতা-গান রচনার মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যকে সুবাসিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘শরৎ, তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি/ ছড়িয়ে গেল ছাড়িয়ে মোহন অঙ্গুলি/ শরৎ তোমার শিশির-ধোয়া কুন্তলে/ বনের পথে লুটিয়ে পড়া অঞ্চলে/ আজ প্রভাতের হৃদয় ওঠে চঞ্চলি।’ শরতের আকাশের ছেঁড়া ছেঁড়া সাদা মেঘের সাথে শৈশবের স্বপ্নরা ঘুরে বেড়ায়, উড়ে বেড়ায় রঙ-বেরঙের ঘুড়ি। অপরূপ সৌন্দর্যের কারণে শরৎকালকে বলা হয় ঋতু রানি।.tdi_3_ee2.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_ee2.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে