খাগড়াছড়ির নতুন আকর্ষণ ‘তুয়ারি মাইরাং’ ঝর্ণা
.tdi_2_1fd.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_1fd.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});পাহাড়, নদী আর ঝর্ণার জনপদ খাগড়াছড়ি। দেশের পাহাড়ি এই অঞ্চল পর্যটকদের কাছে বরাবরই দারুণ আকর্ষণীয়। পাহাড়ের পর পাহাড়ে সাজানো এই চিরসবুজ অরণ্য দেশের যেকোনো অঞ্চল থেকে এই জনপথকে আলাদা করেছে। ভূ-প্রাকৃতিক গঠন একে স্বাতন্ত্র্য এলাকা হিসেবে মর্যদা দিয়েছে। পর্যটকদের কাছে এটি যেন ‘ভূস্বর্গ’। খাগড়াছড়িতে দিন দিন বাড়ছে পর্যটকদের আগমন। এরই মধ্যে জেলার দীঘিনালা সীমানা পাড়ায় সন্ধান মিলেছে প্রায় শত ফুট উঁচু ‘তুয়ারি মাইরাং ’ ঝর্ণার। নতুন সন্ধান পাওয়া এই ঝর্ণা দেখতে স্থানীয় পর্যটক ছাড়াও বাহির থেকে আসছেন অনেকে। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও গাইড সুবিধা দিচ্ছেন স্থানীয়রা। খাগড়াছড়ি দীঘিনালার সীমানা পাড়ায় অবস্থান এই নতুন ঝর্ণার। লোকালয় থেকে হেঁটে ঝর্ণায় পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ১ ঘণ্টা। উঁচু নিচু পাহাড়ে এখন চোখ ধাঁধানো সবুজ জুম। জুমের ল্যান্ডস্কেপ জুড়ে সবুজের মখমল। কাছে দূরে ছোট ছোট জুমঘর। বন্যপ্রাণী থেকে জুমের ফসল বাঁচাতে জুমিয়ারা জুমঘর বানান। আগে তারা ফলনের মৌসুমে জুমের ফসল পাহারায় জুমঘরে রাতযাপন করতেন। বর্তমানে বন্যপ্রাণীর উৎপাত কম হওয়ায় অনেক জুমিয়া রাতে থাকেন না। জুমের পাহাড়জুড়ে এখন সবুজ ধান, ভুট্টা, মারফা ও হলুদসহ বিবিধ ফসলের বাহার। ঝর্ণায় যেতে জুমের দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হবেন যে কেউ। পাহাড় থেকে নামতে হয় প্রাকৃতিক লতা বেয়ে। কয়েকটি পাথুরে জায়গা পারাপারে একমাত্র ভরসা সেই লতা। তবে এসব জায়গায় মোটা দঁড়ি ব্যবহার করা ঝুঁকিমুক্ত। পাহাড় থেকে লতা বেয়ে নেমে হাঁটতে হয় পাহাড়ি ঝিরিতে। ঝিরির দুই পাশে উঁচু উঁচু টারশিয়ারি যুগের পাহাড়। পাহাড়ি ঝিরিতে গা ছম ছম অনুভূতি। ঝিরিতে শত বছর ধরে আটকে আছে বড় বড় পাথর খণ্ড। পাথর ও ক্যাসকেড বেয়ে নামছে পানির স্রোত। উঁচু পাহাড় আর গভীর অরণ্যের কারণে ঝিরি পর্যন্ত পৌঁছে না সূর্যের আলো। পথে পথে আরো কয়েকটি ঝর্ণা দেখা যায়। তবে বৃষ্টিকম হওয়ায় সেসব ঝর্ণায় তেমন পানি নেই। ঝিরি পথে হাঁটার পর দেখা মিলে সুবিশাল তুয়ারি মাইরাং ঝর্ণা। শীতল ঝিরি পথের শেষে পাথরের পাহাড় বেয়ে নামছে ‘তুয়ারি মাইরাং’। এত উঁচু ঝর্ণা দেখে চোখ আটকে যাবে যে কারো। ঝর্ণার উল্টো দিকে পাথুরের পাহাড়। এমন ঝর্ণা দেখে মুগ্ধ পর্যটকরা। ঢাকা থেকে তুয়ারি মাইরাং দেখতে বেড়াতে এসেছেন মারিয়া, মুশফিকা ও শান্তুসহ বেশ কয়েকজন পর্যটক। তারা জানান, করোনার মধ্যে দীর্ঘদিন যান্ত্রিক জীবনে আটকে ছিলাম। তুয়ারি মাইরাং ঝর্ণা দেখতে আসলাম। যারা এডভেঞ্চার পছন্দ করেন তাদের জন্য এটা অনেক আকর্ষণীয়। ঝর্ণার আসা পথ অত্যন্ত রোমাঞ্চকর। এখানে প্রাকৃতিক অনুভূতি আছে। তবে প্রকৃতিকে প্রকৃতির মতো করে উপভোগ করতে হবে। তুয়ারিং মাইরাং প্রায় শতফুট উঁচু। অল্প কষ্টে অল্প হাঁটায় এখানে আসা যায়। দুই পাশে পাহাড়। নেচার ট্র্যাভেলস বাংলাদেশ এর টিম লিডার ডা. মইনুল হাসান জানান, তুয়ারি মাইরাং অত্যন্ত সুন্দর ঝর্ণা। এর চারপাশটা বেশ রোমাঞ্চকর। পুরো পথজুড়ে এডভেঞ্চারের স্বাদ। কোথাও কোথাও ঝিরি এবং ক্যাসকেড বেয়ে নামতে হয়। এসময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। বন্ধুর পথ পেরিয়ে ঝর্ণা দেখে মুগ্ধ হবে যে কেউ। পর্যটকদের যাতায়াতে অবকাঠামো উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আগত পর্যটকদের গাইড সুবিধাও দেয়ার কথা বলেছেন তারা। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য হতেন ত্রিপুরা জানান, তুয়ারি মাইরাং নতুন ঝর্ণা। স্থানীয়রা বেড়াতে আসলেও বাইরে পর্যটকরা খুব একটা আসেনি। যাতায়াতের পথ কিছুটা ঝুঁকিপুর্ণ। সরকারের পক্ষ থেকে রাস্তাসহ অবকাঠামো নির্মাণ করে দিলে সুবিধা হবে। পর্যটক বেড়াতে আসলে গাইড সুবিধা দেয়া যাবে। ঝর্ণায় যাতায়াতে অবকাঠামো উন্নয়নে কথা জানিয়েছেন দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মোহাম্মদ উল্লাহ। তিনি জানান, দীঘিনালায় তৈদুছড়া ঝর্ণা, বাদুড় গুহাসহ বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। তবে দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে পর্যটকদের যাতায়াতে অসুবিধা হয়। তুরায়ি মাইরাং পর্যটকদের কাছে এটি নতুন আকর্ষণ হতে পারে। ট্র্যাকিং প্রিয় পর্যটকরা এটি ঘুরে আসতে পারেন।.tdi_3_f0d.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_f0d.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});