অর্থকষ্টে দিন কাটছে দর্জিদের
এক বছর আগে জয়পুরহাট শহরের রেললাইনের পাশে (অস্থায়ী রেলওয়ে হর্কাস মার্কেট) সেলাই মেশিনে কাজ শুরু করেন দুই সন্তানের জনক দীপু। দিনে খরচ বাদ দিয়ে তার আয় হয় তিনশ’ টাকা। তাতেই খুশি ছিলেন তিনি। শহরের সবুজনগর মণ্ডলপাড়া মহল্লায় ভাড়ার বাসায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে কোনোরকমে দিন কাটছিল তার। কিন্তু করোনা প্রতিরোধে দেশব্যাপী লকডাউন শুরু হলে কাজ বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েন দীপু। এই অবস্থায় গত পাঁচ মাস ধরে সংসার চালাতে গিয়ে জমানো আয় শেষ করে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। ঋণের কিস্তিও আটকে যায়। লকডাউন ওঠে গেলে কোরবানি ঈদের পর আবারও কাজ শুরু করেন তিনি। কিন্তু আগের মতো মানুষের ভিড় না থাকায় কাজ নেই। দিনে এখন কাজ হচ্ছে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ টাকার। সামান্য এই আয় দিয়ে সংসারের খরচ জোগানোর পাশাপাশি ঋণ পরিশোধের চিন্তা এখন কুঁড়ে কুঁড়ে মারছে দীপুকে।