করোনাকালীন গৃহস্থালি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা
.tdi_2_898.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_898.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});পুরো বিশ্ব আতঙ্কিত করোনা ভাইরাস নিয়ে। কিন্তু শুধু আতঙ্কিত হলেই তো হবে না। ছড়িয়ে পড়া এই মহামারি প্রতিরোধে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। এ সচেতনতা আমাদেরকে কিছুটা হলেও সুস্থ রাখতে পারবে। যেমন করোনাকালীন আমরা সবাই বেশির ভাগ সময়ই ঘরে বা কোয়ারেন্টাইনে থাকছি। আর সে জন্য আমাদের গৃহস্থালির পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অপরিহার্য। হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার করা কিংবা মাস্ক পরা যেমন জরুরি, তেমনি হাতের সাথে ঘর দোর রাখতে হবে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত। ঘরের মেঝে বা দেওয়ালের নিচের দিকের অংশগুলোকে দিনে অন্তত দুবার ভালভাবে ঝাড়ু দিয়ে, তারপর ডেটল, স্যাভলন বা ফিনাইলের মতো পদার্থ পানিতে মিশিয়ে ভালভাবে মুছতে হবে। আর যিনি এসব পরিষ্কারের কাজ করবেন তাকেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ ধুলো বালিতে মিশে থাকা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সবচেয়ে কাছে যান তিনি। তাই এ সময়ে মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস্ পরা প্রয়োজন। রান্নাঘর প্রতিদিনই খাবার তৈরির জন্য নোংরা হয় এবং সেখানে জীবানুরা বাসা বাঁধে। তাই এমন কিছু জিনিষ গৃহে রাখা প্রয়োজন যা দিয়ে তাড়াতাড়ি জীবাণু ধ্বংস করা যাবে। এক্ষেত্রে রান্নাঘর পরিষ্কার রাখার জন্য আমরা জীবাণু নাশক ক্লিনিং স্প্রে ব্যবহার করতে পারি। এছাড়া শুধু রান্নাঘর কেন, এই স্প্রে দিয়ে আমাদের বেডরুম, লিভিংরুম, ডাইনিং রুম এবং বাথ রুমও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারি। বাসনপত্র মাজা ও ধোয়ার জন্য সাবান বা লিকুইড ও গরম পানি ব্যবহার করতে পারি। কাটাকুটির কাজে ব্যবহৃত দা, বটি, বোর্ড, ছুরি ইত্যাদি ভাল করে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। ঘরে টিস্যু এবং ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিন রাখা খুব জরুরী। অনেকে হাঁচি, কাশি, সর্দিতে টিস্যু ব্যবহার করেন কিন্তু প্রায় সময় দেখা যায়, ব্যবহৃত টিস্যুটি জানালা দিয়ে বাইরে ফেলছেন নতুবা ঘরের কোণে রাখা খোলা ডাস্টবিনে রাখছেন। এতে গৃহ পরিচ্ছন্ন না হয়ে জীবাণুযুক্ত হচ্ছে। তাই অবশ্যই ব্যবহৃত টিস্যুটি ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলতে হবে এবং সাথে সাথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে হাঁচি কাশি দেয়া হাত ধোয়ার আগে ভুলেও যেন কোথাও না লাগে। আমরা যদি সচেতনতায় এতটুকুন সতর্কতা অবলম্বন করতে পারি, তবে আমাদের গৃহস্থালির সাথে সাথে আমরাও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং জীবাণুমুক্ত থাকবো। যে কোনো রোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে চিকিৎসার আগে প্রতিরোধই সবচেয়ে উত্তম। গৃহস্থালির বর্জ্য যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে। মাছ মাংসের পচনশীল ময়লা কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির মাস্ক গ্লাভস্ আলাদাভাবে প্লাস্টিকের প্যাকেটে করে ফেলতে হবে। নতুবা সেটা কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের স্বাস্থ্যের জন্যও মারাত্মক হুমকিস্বরূপ হতে পারে। তাছাড়া স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা ভাইরাস কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন সক্রিয় থাকে। তাই বলছি, এসব গৃহস্থালির বর্জ্য যদি প্যাকেটে না ফেলে খোলা অবস্থায় ফেলি, তবে তা থেকে পথচারীও সংক্রমিত হতে পারে। গৃহস্থালির কাজ কর্ম ছাড়াও নিজের দুই হাত পরিষ্কার বিশুদ্ধ স্বচ্ছ পানি দিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে ধুয়ে নিতে হবে। হাতে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ লাগিয়ে হাতের তালু এবং পৃষ্ঠতল ঘষে ফেনা তুলতে হবে। আঙুলগুলোর মাঝেও একইভাবে পরিষ্কার করতে হবে। তারপর বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধুতে হবে। ঘরের সবাই আলাদা আলাদা তোয়ালে ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয় এবং তা মাঝে মাঝে পরিষ্কার করতে হবে। সেই সাথে ঘরের যেসব বস্তু বার বার ব্যবহার হয় সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। যেমন দরজার হাতল, টেবিল- চেয়ার, সুইচ, মোবাইল, কম্পিউটার, রিমোট, সিঁড়ির রেলিংসহ সব বার বার ব্যবহৃত জিনিসপত্র পরিষ্কার রাখতে হবে। ঘরে যাতে পোকামাকড় বা মশার উপদ্রব বেড়ে না যায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বাড়ির আশপাশে ব্লিচিং পাউডার ছিটাতে হবে। কীটনাশক স্প্রে, মশা মারার ওষুধ, ধূপ ব্যবহার করতে হবে। করোনাসহ সংক্রামক যে কোনো রোগ অপরিচ্ছন্নতার কারণেই বেশি ছড়ায়। তাই করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় প্রতিষেধক হলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত থাকা।.tdi_3_ba7.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_ba7.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});