অভয়মিত্র মহাশ্মশানে মাটি ভরাট ও স্লুইসগেট নির্মাণ করা হবে

দৈনিক আজাদী চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০২০, ০৫:৫৯

.tdi_2_1f9.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_1f9.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});চট্টগ্রামে মরদেহ সৎকারের প্রধান শ্মশান বলুয়ারদীঘি অভয়মিত্র মহাশ্মশান। শতবর্ষী এই শ্মশান দীর্ঘকাল হতে জোয়ারের পানির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার সংকটে নিমজ্জিত। গতকাল শনিবার চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন এই মহাশ্মশান পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি মহাশ্মশান পরিচালনা কমিটি ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন। চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন সার্বিক পরিস্থিতি ও পানি উঠার কারণ নির্ণয় করে বলেন, মাটি ভরাট করে অভয়মিত্র মহাশ্মশান উঁচু করা হলে জোয়ারের পানি আর এই স্থানে প্রবেশ করতে পারবে না। জলাবদ্ধতা না থাকলে সনাতন সম্প্রদায় তাদের আপনজনের মৃতদেহ সৎকার যথাযথ ধর্মীয় নিয়মনীতি অনুসরণ করে নিরাপদে ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবে। এজন্য তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত এই মহাশ্মশানের জন্য ত্বরিৎ পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এই মহাশ্মশানের জন্য অনুদান পাঠিয়েছেন। আগামীতে বলুয়ারদীঘি অভয়মিত্র মহাশ্মশানের সার্বিক উন্নয়নেও তিনি পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। আমাদের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী থাকলে হয়তো এতদিনে এই দুদর্শা থাকতো না। তিনি অনেক আগেই এই মহাশ্মশানের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতেন। যে অনুদান পাওয়া গেছে তাতে সাময়িক কষ্ট লাঘব হলেও এর জন্য চাই পরিকল্পিত ও কার্যকর পদক্ষেপ। প্রশাসক বলেন, যেহেতু মহাশ্মশানটি সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনাধীন। তাই একটি সুন্দর পরিকল্পিত মহাশ্মশান করার জন্য আমরা কার্যকর পদক্ষেপ নেব। এ মহাশ্মশানের উন্নয়নের জন্য যা যা করা প্রয়োজন তাই করবো আমরা। এজন্য সব মহলের মতামত ও পরামর্শ নেয়া হবে। আমাদের এমনভাবে মহাশ্মশানটি সংস্কার করতে হবে যাতে পাশের এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তিনি দু:খ প্রকাশ করে বলেন, আমরা দেখেছি মহাশ্মশান উঁচুকরণ ও সংস্কারের জন্য প্রতি বছর নানা উদ্যোগ হাতে নেয়া হতো। কিন্তু বাস্তবায়ন কিছুই হয় না। মহাশ্মশানের পেছনে বয়ে যাওয়া চাক্তাই খালে স্লুইসগেট স্থাপন করলে জোয়ারের পানি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এতে করে জোয়ারের সময় স্লুইসগেট বন্ধ করা হলে শ্মশানে মৃতদেহ সৎকারে জল দুর্ভোগ সমস্যা নিরসন হয়ে যেত। তবে এখন আর সময় নষ্ট করার সময় নেই। আশা করছি খুব শীঘ্রই মহাশ্মশানটির উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করব। এসময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, অভয়মিত্র মহাশ্মশান পরিচালনা কমিটির সভাপতি জহর লাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক বিজয় কিষান চৌধুরী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি পেয়ার মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট তপন দাশ, রুমকী সেন গুপ্ত, ইঞ্জিনিয়ার আশুতোষ দাশ, অজয় বনিক, টুনটুন চক্রবর্তী, কুতুব উদ্দিন সেলিম, আবু জাফর চৌধুরী, সেকান্দর আলী, রফিকুল আলম বাপ্পী উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।.tdi_3_21a.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_21a.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও