নিম্নমানের কাজ বন্ধ করলো এলাকাবাসী

মানবজমিন মেহেরপুর প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগে মেহেরপুরের গাংনীর কাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টার পর থেকে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন তারা। এ ঘটনায় নীরব থাকায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেছেন এলাকাবাসী। এদিকে গত শুক্রবার সকালে আবারো নির্মাণ কাজ শুরু করার  চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এলাকাবাসী। নিম্নমানের মালামাল অপাসারণ করে সিডিউল অনুযায়ী কাজ করার প্রতিশ্রুতিতে শনিবার সকাল থেকে কাজ শুরু করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে এ কাজেও দুই নম্বরি করার সংশয় রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর জেলায় মোট ৬১ টি বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এরমধ্যে গাংনী উপজেলায় ৩০ টি, মুজিবনগর ও মেহেরপুর সদর উপজেলায় ৩১ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। নির্মাণ কাজ চলমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০ মাদ্রাসা রয়েছে। ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কার্যাদেশ পায় কুষ্টিয়ার আনোয়ার আলী নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক কুষ্টিয়া পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেনের ছেলে তনু। নিম্নমানের বালি দিয়ে ঢালাই করা হয়েছে এমন সংবাদ পাওয়ার পর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়টি এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে ঠিকাদার তনু করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে নির্মাণ কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার শরন জানান, শ্রমিকরা ভুল করে কিছু বালি ঢালাইয়ে ব্যবহার করেছে এটা ঠিক কিন্তু নির্মাণ কাজ শতভাগ ভালো হচ্ছে। নিম্নমানের বালি শ্রমিক না ঠিকাদার এনেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিকাদার এনেছে। নিম্নমানের বালির বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলো দিয়ে প্লাস্টারের কাজ করা হবে। মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনছুর আলম খান বলেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দেখভাল করার কথা। তারা যদি অবহেলা করে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।  কোনোভাবেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা যাবে না। সরকারি বিধি মোতাবেক কাজ করতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে