কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনে এখনও ‘লকডাউন’

দৈনিক আজাদী চট্টগ্রাম বিভাগ প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০২০, ০৬:১৩

.tdi_2_f0f.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_f0f.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});করোনার কারণে প্রায় পাঁচ মাস দেশের ক্রীড়াঙ্গন সমূহ বন্ধ। চট্টগ্রামও তার ব্যতিক্রম নয়। সেই ১৭ মার্চ থেকে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনে যে লকডাউন শুরু হয়েছে তা এখনো খুলেনি। কবে নাগাদ খুলবে তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। কেউ জানে না কবে আবার ক্রীড়াবিদদের পদচারনায় মুখর হয়ে উঠবে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন। ঢাকায় ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় দলের ফুটবলারদের করোনা টেস্ট করার মধ্য দিয়ে ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রামে এখনো খেলাধুলা শুরু হওয়ার কোন লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ ফুটবল লিগ প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল লিগ এবং প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগ স্থগিত হয়ে গেছে করোনার কারণে। এই দুটি লিগ কেবলই শুরু হয়েছিল। ফুটবল লিগ সম্পন্ন হতে না পারায় তার প্রভাব পড়ছে অন্য ইভেন্টগুলোর উপরও। কারণ ফুটবল লিগ সম্পন্ন হতে না পারায় পিছিয়ে দিতে হবে ক্রিকেট লিগও। করোনার সাথে শুরু হয়েছে বর্ষা। এরই মধ্যে বর্ষার কারণে এমএ আজিজ স্টেডিয়াম হয়ে পড়েছে একেবারেই খেলার অনুপযোগী। ফলে করোনা আর বর্ষার কারণে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনে শুরু হবে মারাত্নক জট। যে জট কিভাবে সামাল দিবে ক্রীড়াঙ্গনের দায়িত্বশীলরা সেটা বলা মুশকিল। করোনা এবং বর্ষার কারণে গত পাঁচ মাসে অনেকগুলো ইভেন্ট মাঠে গড়াতে পারেনি। করোনা পরিস্থিতির উন্নতির তেমন কোন লক্ষণ এখনো চোখে পড়ছে না। তার উপর চলছে বর্ষা। মাঠ কর্মীরা নানাভাবে চেষ্টা করছেন এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের মাঠকে খেলার উপযোগী করার। কিন্তু বর্ষার কারণে একদিকে ঘাস কাটলে তা অন্য দিকে বড় হয়ে যাচ্ছে। ফলে বর্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এমএ আজিজ স্টেডিয়াম খেলার উপযোগী হয়ে উঠার কোন সম্ভাবনা নেই। এদিকে এ বছর এরই মধ্যে কেটে গেছে ৮ মাসের মত। বছরের বাকি রয়েছে আর চারটি মাস। এই চার মাসের কতটা খেলাধুলার জন্য ব্যবহার করা যাবে তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। কবে নাগাদ সরকারের পক্ষ থেকে খেলাধুলার অনুমতি পাওয়া যাবে তাও কেউ বলতে পারছেন না। তাই বলতে গেলে সবদিক থেকে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যেই রয়েছে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন। এরই মধ্যে ফুটবল লিগ জমা হয়ে গেছে। ক্রিকেট লিগ দিতে হবে পিছিয়ে। এছাড়া আউটডোর ইভেন্টগুলোর মধ্যে হকি, হ্যান্ডবল, ভলিবল সহ সবগুলো ইভেন্টই পড়েছে জটের কবলে। কারণ এই ইভেন্টগুলোর একাধিক টুর্নামেন্ট এবং লিগ কোনটিই সম্পন্ন করা যায়নি। আউটডোর ইভেন্টগুলোর সাথে হতে পারেনি ইনডোর কোন ইভেন্টও। যদিও ইনডোরের কোন কোন ইভেন্টে শারিরীক সংঘর্ষের সম্ভাবনা না থাকলেও সে সব ইভেন্টেরও অনুমতি মেলেনি সরকারের কিংবা ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে। ফলে সবাইকে থাকতে হচ্ছে অপেক্ষায়। কবে নাগাদ আসবে ঘোষণা। আবার ক্রীড়াবিদরা নামতে পারবে মাঠে। গতকাল চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার একাধিক ইভেন্ট সম্পাদকের সাথে কথা হলে তাদের সবার মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা। যদিও প্রকৃতি এবং নিয়তিকে মেনে নিচ্ছেন তারা। কিন্তু মাঠের মানুষতো আর ঘরে বসে থাকতে পারে না। পাশাপাশি ক্রীড়াবিদদের মাঝে বিরাজ করছে চরম হতাশা। তাদের রোজগারের একমাত্র পথ যে রুদ্ধ। তাই ক্রীড়াবিদ, সংগঠক সবার চাওয়া যাতে দ্রুতই মাঠে গড়ায় খেলাধুলা। এদিকে যখনই খেলাধুলা মাঠে গড়াক না কেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে বিভিন্ন ইভেন্টের শিডিউল মেলাতে হিমসিম খেতে হবে। কারণ খেলাধুলার শুরু হলে সবগুলো ইভেন্ট হয়তো মাঠে নামাতে হবে। যা ক্লাব, আয়োজক, ক্রিড়াবিদ সবার জন্য বেশ কঠিন। এই কঠিন পরিস্থিতিতে কিভাবে আবার খেলাধুলার শিডিউল মেলাবে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।.tdi_3_935.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_935.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও