বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় মোশতাকের সহযোগী ছিলেন জিয়া

দৈনিক আজাদী গণভবন প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২০, ০৬:৩৪

.tdi_2_6c3.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_6c3.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পেছনে উচ্চাভিলাষী খন্দকার মোশতাকের সহযোগী হিসেবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সম্পূর্ণভাবে জড়িত ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার বিকালে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে সেইদিন কর্নেল ফারুক, কর্নেল রশীদ, মেজর হুদা, মেজর ডালিম, মেজর শাহরিয়ার, মেজর পাশা সামরিক অফিসার এরা সকলেই, যেমন মহিউদ্দিন, মাজেদ, মোসলেহউদ্দিন, রাশেদ, খায়রুজ্জামানসহ সকলেই জড়িত ছিল। কিন্তু এই সামরিক অফিসারদের কারা, কে মদদ দিয়েছিল এবং তাদের পেছনে কে ছিল প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, আমার বাবার কেবিনেটেরই এক মন্ত্রী খন্দকার মোশতাক, তার উচ্চাভিলাষ আর তার সহযোগী জিয়াউর রহমান, যে একজন মেজর ছিল, যাকে প্রমোশন দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মেজর জেনারেল বানিয়েছিলেন, সে এর সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে জড়িত ছিল। খবর বিডিনিউজের। এদিকে আওয়ামী লীগ আমলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে যারা সমালোচনা করছেন, তাদের বিএনপি আমলের ‘অপারেশন ক্লিনহার্ট’র কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের মৃত্যুতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপিসহ অন্যদের সমালোচনার প্রেক্ষাপটে গতকাল এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট’র প্রসঙ্গ তোলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, এক্সট্রা জুডিসিয়াল কিলিংয়ের কথা আজকে সবাই বলে। সবাই ভুলে গেছে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে কত মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় যাওয়ার পর সন্ত্রাস দমনে পরিচালিত ‘অপারেশন ক্লিনহার্টে’ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগকে লক্ষ্য করে ওই অভিযান চালানো হয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর পথ বন্ধ করে দিয়েছিল খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর কর্নেল ফারুক এবং কর্নেল রশীদ তারা একটা ইন্টারভিউ দেয়, যেখানে তারা স্পষ্ট বলে যে, তাদের সঙ্গে জিয়াউর রহমান সম্পূর্ণভাবে জড়িত ছিল এবং তার মদদেই তারা এই ঘটনা ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, সেটা আরও প্রমাণ হয় বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর, তিনি রাষ্ট্রপতি, তাকে হত্যার পর সেখানে সংবিধান মানা হয়নি। ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহেব কিন্তু রাষ্ট্রপতি হননি। রাষ্ট্রপতি ঘোষিত হলো খন্দকার মোশতাক। আর খন্দকার মোশতাক রাষ্ট্রপতি হয়েই জেনারেল জিয়াউর রহমানকে বানাল সেনাবাহিনীর প্রধান। জেনারেল জিয়াউর রহমান মোশতাকের সাথে যদি এই ষড়যন্ত্রে সম্পৃক্ত না থাকে তাহলে কেন মোশতাক তাকেই বেছে নেবে সেনাপ্রধান হিসেবে? ওই খুনিদের সব ধরনের মদদ দেওয়া…এটা তো জিয়াউর রহমানই দিয়েছিল। এখানেই তো তাদের শেষ না। মোশতাক…বেঈমানরা কখনও ক্ষমতায় থাকতে পারে না। মীরজাফরও পারেনি। মীরজাফরকে যারা ব্যবহার করেছিল সিরাজদ্দৌল্লাকে হত্যা করতে, মীরজাফর দুই মাসের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। ঠিক মোশতাকও পারেনি। খন্দকার মোশতাককে সরিয়ে জিয়াউর রহমান আইন লক্সঘন করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিল জানিয়ে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই খুনিরা যারা শুধু ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটায়নি, ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যারা হত্যাকাণ্ড ঘটায়, তাদেরকে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া, তাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা, ব্যাংকক হয়ে তাদেরকে লিবিয়াতে পাঠানো এবং সেখান থেকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে…জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হয়েই এই খুনিদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে। জিয়াউর রহমান জাতির পিতার খুনিদের রক্ষায় ইনডেমনিটি আইন করেছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি। জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ারও সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যেটুকু করে গিয়েছেন তারপর তার স্ত্রী আসার পর তো আরও বেশি। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে কি করেছে? সকলে নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুযারি ভোটারবিহীন নির্বাচনে কোনো দল অংশ নেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নামকাওয়াস্তে কিছু দল জুড়ে দিয়ে একটা নির্বাচনের নামে প্রহসন করা হয়েছিল। সারা বাংলাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে সেই নির্বাচন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ভোটাররাও ভোট দিতে আসেনি। তারপর খালেদা জিয়া নিজেকে নির্বাচিত ঘোষণা দেন। আর সেই নির্বাচনে কর্নেল রশীদকে নির্বাচিত করা হলো, মেজর হুদাকে নির্বাচিত করা হলো। তাদেরকে পার্লামেন্টে বসানো হলো এবং সেই খুনি কর্নেল রশীদকে বিরোধীদলের আসনে বসানো হয়েছিল। খুনিদের প্রতি খালেদা জিয়ার এত দরদ কেন, প্রশ্ন রাখেন শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে এসে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে জানিয়ে তিনি বলেন, সেই খুনিদের তালিকায় যারা ছিল অনেকে বিদেশে। পাশা, সে মারা যায় বিদেশে। আর খায়রুজ্জামান সে চাকরি ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পাশা মারা গেলেও তাকে পদোন্নতি দেয়া এবং খায়রুজ্জামানকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাকরিতে পুনর্বহাল করার কথা তুলে খালেদা জিয়ার সমালোচনা করেন তিনি। তার স্বামী যা করেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী…তাদের ইনডেমনিটি আর সে এসে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে তাদের ইনডেমনিটি দিয়ে গেছে।.tdi_3_9f9.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_9f9.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও