চট্টগ্রাম থেকে সপ্তাহে একদিন দুবাইগামী ফ্লাইট চালুর দাবি
.tdi_2_395.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_395.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});চট্টগ্রাম-আবুধাবি ও চট্টগ্রাম-দুবাই রুটে প্রায় ৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট। অবশ্য ঢাকা থেকে আবুধাবি ও দুবাই ফ্লাইট চালু হয়েছে গত মাসে। কিন্তু সেখানেও আছে টিকিটের তীব্র সংকট। এমনকি বর্ধিত দামেও মিলছে না টিকিট। টিকিট না পেয়ে গত বুধবার বিমানের চট্টগ্রাম অফিসের জানালা ভাঙচুর ও বিক্ষোভ করেছেন প্রবাসীরা। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম থেকে সপ্তাহে অন্তত একদিন দুবাইগামী ফ্লাইট চালুর দাবি করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। অন্যথায় ঢাকা থেকে ফ্লাইট বৃদ্ধি করে চট্টগ্রামের প্রবাসীদের জন্য কোটা সংরক্ষণের দাবি করেন তিনি। গতকাল রোববার এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলমকে একটি উপানুষ্ঠানিক পত্রও দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করে খোরশেদ আলম সুজন দৈনিক আজাদীকে বলেন, প্রতিমন্ত্রীকে চিঠি দেয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে টেলিফোনে কথাও বলেছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি ফ্লাইট চালু করার বিষয়ে আবুধাবি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তাদের অনুমতি পেলে সপ্তাহে অন্তত একদিন চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট চালু করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। চসিক প্রশাসক বলেন, আবুধাবি বা দুবাই প্রবাসীদের সিংহভাগই চট্টগ্রামের বাসিন্দা। তাই চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি ফ্লাইট চালু করা জরুরি। টিকিটের জন্য বিমান অফিসে যারা যাচ্ছেন তাদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এ হয়রানি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও বলেছি। এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশে সাড়ে চার লাখের মতো শ্রমিক ফেরত এসেছেন। অর্থাৎ তারা এসেছেন করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হওয়ার পূর্বে। এদিকে দেশে আসা বেশিরভাগ প্রবাসীর ছুটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। অথচ প্রবাসীদের বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত প্রবাসীদের দেশে আসার ছয় মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দেশে ফেরত যেতে হয়। কিন্তু করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেলে নির্দিষ্ট সময়ে ফেরত যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। ১৩ জুলাই ঢাকা থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ফ্লাইট চালু করে বিমান বাংলাদেশ। ওইদিন যাওয়া বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটে যাত্রী ছিল ১৮৬ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ৯২ জনকে বিমানের ৭৩৭ বোয়িং উড়োজাহাজে করে ঢাকায় নেওয়া হয়। এছাড়া ১৪ জুলাই থেকে ঢাকা-আবুধাবি রুটে ফ্লাইট চালু হয়। অবশ্য ঢাকা থেকে ফ্লাইট হলেও চট্টগ্রামের যাত্রীদের চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন করা হচ্ছে। চিঠিতে প্রশাসক যা বললেন : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীকে উপানুষ্ঠানিক পত্রে চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমানের টিকেট সহজলভ্য না হওয়ায় এবং চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট না থাকার কারণে চট্টগ্রামের প্রবাসীরা নানাভাবে হয়রানি হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধ করে দালালের মাধ্যমে টিকেট সংগ্রহ করতে হচ্ছে। আবার অনেকেই অতিরিক্ত মূল্য দিয়েও টিকেট পাচ্ছেন না।’ হয়রানি দূরীকরণে চট্টগ্রাম থেকে সপ্তাহে অন্তত ১টি দুবাইগামী ফ্লাইট চালু করা বাঞ্চনীয় উল্লেখ করে পত্রে বলা হয়, ঢাকা থেকে দুবাইগামী ফ্লাইট বৃদ্ধি করে চট্টগ্রামের প্রবাসীদের জন্য একটা নির্দিষ্ট কোটা সংরক্ষণ করা হলেও হয়রানি লাঘব হতে পারে। চিঠিতে বলা হয়, আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে চট্টগ্রামের বিশাল সংখ্যক প্রবাসী কর্মরত রয়েছেন। বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের কারণে তাদের একটা বড় অংশ দেশে ফিরে আসেন। সম্প্রতি আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে বিমান চলাচল শুরু হওয়ার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামস্থ প্রবাসীদের সংশ্লিষ্ট দেশসমূহে পুনরায় ফিরে যাওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।.tdi_3_851.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_851.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});