ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের শাহবাজপুরে তিতাস নদীর ওপর নির্মিত নতুন সেতুতে টোল আদায়ের সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান। অন্যথায় ধর্মঘটে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ বলেন, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত চার মাস ধরে পরিবহন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এরই মধ্যে শাহবাজপুর এলাকায় নবনির্মিত সেতুতে যানবাহন পারাপারে টোল আদায়ের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। গত ২৯শে জুলাই সড়ক ও জনপথ বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে এ বিষয়টি জানার পর থেকেই তারা উদ্বিগ্ন রয়েছেন। তাদের ২৩৬টি লোকাল বাসের মধ্যে জেলার উত্তরাঞ্চলের যাত্রীদের সুবিধার্থে শহরের মেড্ডা ও কাউতলি থেকে সাতবর্গ রুটে ৫২টি গাড়ি প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলাচল করে। প্রত্যেকটি গাড়ি দিনে ৬/৭ বার শাহবাজপুর সেতু দিয়ে যাতায়াত করে। সেই হিসেবে প্রতিবার ১৮০ টাকা করে টোল দিলে তাদের পক্ষে আর পরিবহন ব্যবসা করা সম্ভব হবেনা। এতে করে হাজার হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়বে। সে কারণে এই সেতুতে টোল আদায়কে তারা মহাবিপদ হিসেবে দেখছেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর এবং ভৈরবে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র সেতু শাহবাজপুর সেতুর চেয়ে অনেক বড় হলেও সেখানে কোনো টোল নেই জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত বাতিল করার দাবি জানান পরিবহন ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, যদি টোল আদায় করতেই হয়, তাহলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকাল বাসগুলোকে টোলমুক্ত সুবিধা দিতে হবে। অন্যথায় পূর্বাঞ্চলের সব জেলায় পরিবহন সংশ্লিষ্টদের নিয়ে ধর্মঘট ডাকার হুঁশিয়ারি দেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন জমশেদ, কোষাধ্যক্ষ কাউসার আহমেদ, জেলা লোকাল বাস পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল বাশার, সাধারণ সম্পাদক নিয়ামত খান, শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মো. সেলিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলমগীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জেলার মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধেরও দাবি জানান পরিবহন ব্যবসায়ীরা।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.