কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মাদকের বিনিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

দৈনিক আজাদী সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ১৬ আগস্ট ২০২০, ০৬:০৬

.tdi_2_f78.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_f78.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});পুলিশ ও র‌্যাবের অভিযানের পরও থেমে নেই ইয়াবা পাচার। নতুন কোন কৌশলে চট্টগ্রাম দিয়ে ইয়াবার চালান আসছে বাংলাদেশে। বিভিন্ন সময়ে ধরা পড়লেও গডফাদাররা থেকে যাচ্ছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সমাজ বিশ্লেষকরা বলছেন, পুলিশের তালিকায় যাদের নাম উঠে এসেছে তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। আর প্রশাসন বলছে, এরইমধ্যে অনেক প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, বাকিদেরও আনা হবে। গত ২৮ জুলাই দৈনিক আজাদীতে প্রকাশিত হলো ৪ কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধারের সংবাদ। এতে বলা হয়েছে, টেকনাফে বিজিবি জওয়ানরা অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১ লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। মঙ্গলবার ভোররাত আড়াইটার দিকে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বিশেষ একটি টহল দল মিয়ানমার হতে বড় ধরনের মাদকের চালান আসার সংবাদ পেয়ে উপজেলার হ্নীলা রোহিঙ্গা অধ্যুষিত নাফ নদী সংলগ্ন কেওড়া বাগানে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর ২ জন মাদক কারবারি নাফ নদী সাঁতরিয়ে কেওড়া বাগান হয়ে উঠে আসার পথে তাদের দাঁড়ানোর জন্য চ্যালেঞ্জ করলে বস্তাটি ফেলে কেওড়া বাগান দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এরপর ঘটনাস্থল তল্লাশি করে মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা ইয়াবা ভর্তি ১টি বস্তা উদ্ধার করে গণনা করে ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা মূল্যমানের ১ লাখ ৩০ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। বাংলানিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, বাংলাদেশে ইয়াবা প্রবেশের অন্যতম স্থান টেকনাফ থেকে প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন স্থানে গেছে ইয়াবার চালান। এসব ইয়াবা পরিবহনে কৌশলও পাল্টেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে ইয়াবা পরিবহন করে আসছে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে এসব ইয়াবার চালান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নিয়মিত ধরাও পড়ছে ইয়াবার চালান। তবে যারা ধরা পড়ছেন তারা মূল ইয়াবা ব্যবসায়ী নন, বহনকারী মাত্র। নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া তাদের কাজ। তারা পুলিশ, র‌্যাবের হাতে ধরা পড়লেও আড়ালে থেকে যান মূল ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। টাকার লোভে পড়ে ইয়াবার চালান নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়া বহনকারীরা পুলিশ, র‌্যাবের হাতে ধরা পড়লেও অন্য কোনো তথ্য দেন না। এ কারণে পুলিশ মূল ইয়াবা ব্যবসায়ীকে মামলায় আসামিও করতে পারে না। কড়া চেকপোস্ট ও তল্লাশি থাকা সত্ত্বেও কক্সবাজার থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ইয়াবার চালান আসে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে প্রবেশমুখ চুনতি এলাকায় আটক হয় বেশ কয়েকটি চালান। এছাড়া করোনার শুরু থেকে গত চার মাসে চট্টগ্রামে ছোট বড় অনেক চালান আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। টেকনাফ থেকে ইয়াবা নিয়ে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার পথে পুলিশ ও র‌্যাবের হাতে আটক হয় এসব ইয়াবার চালান। করোনা নিয়ে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর ব্যস্ততার সুযোগে নৌপথে ইয়াবা পাচার বেড়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন। বলা হচ্ছে, কক্সবাজার থেকে ইয়াবার চালান নৌপথে সরাসরি চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকায় নিয়ে আসছে। উপকূলীয় এলাকা থেকে পরবর্তীতে ইয়াবার চালানগুলো পৌঁছে দেওয়া হয় চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার বিভিন্ন এলাকায়। এ কথা অনস্বীকার্য যে, ইয়াবা নিয়ন্ত্রণ করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে একা সম্ভব নয়। এ জন্য সমাজের সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে। সীমান্ত দিয়ে দেশে যাতে মাদক প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য সকল সংস্থা সমন্বয় করে কাজ করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও আন্তরিক হতে হবে। মাদকের গডফাদার, প্রভাবশালী আশ্রয়দাতা ও বিনিয়োগকারীদের আটকাতে হবে। দেশ থেকে মাদকের মূলোৎপাটনের স্বার্থেই সরকারি সংস্থার তদন্তে যেসব গডফাদার বা পৃষ্ঠপোষকের নাম এসেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অভিযান শতভাগ কার্যকর করা দরকার। মাদক কারবারে জড়িত অপরাধীরা যে সব অপকর্ম চালাতে বিভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে, তাদের সেই অপচেষ্টা প্রতিরোধ করার জন্য সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সৈনিকদের আরো সতর্ক থাকতে হবে।.tdi_3_368.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_368.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও