যাত্রী আগের মতোই ভাড়া কিন্তু দ্বিগুণ

দৈনিক আজাদী প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২০, ০৪:৩৪

.tdi_2_228.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_228.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গড়ে প্রতিদিনই শতাধিক করে বাড়ছে এ রোগীর সংখ্যা। কিন্তু করোনার বিস্তার থাকলেও গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই। ধারণক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে গণপরিবহনে। অথচ যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। পথে ঘাটে যাত্রী হয়রানি এবং বাড়তি ভাড়া নেয়াকে কেন্দ্র করে নানা অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটছে। পুলিশের কাছেও জমা হচ্ছে অনেক অভিযোগ। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ গণপরিবহনে অনিয়ম ঠেকাতে কঠোর হওয়ার আভাস দিয়েছে। চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ষোল হাজার ছুঁই ছুঁই করছে। ইতোমধ্যে করোনায় মারা গেছে আড়াইশ’র বেশি। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। সামাজিক দূরত্ব কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই না থাকায় করোনার বিস্তার বলেও সংশ্লিষ্টরা উল্লেখ করেছেন। করোনার ভয়াবহ বিস্তারের মাঝেও চট্টগ্রামে গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য চলছে। শহর এলাকার বাসসহ বিভিন্ন গণপরিবহনে স্বাভাবিক সময়ের মতোই যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। বাসে দাঁড়িয়েও যাত্রী যাতায়াত করতে দেখা গেছে। গার্মেন্টস কারখানার ছুটি এবং সকালে অফিস সময়ে বাস টেম্পোসহ বিভিন্ন পরিবহনে ঠাসাঠাসি করে যাত্রী তোলা হয়। গতকাল নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা গেছে, চালক সহকারী কিংবা যাত্রীদের সুরক্ষা সামগ্রী তো দূরের কথা, চালক ও সহকারীর মুখে মাস্কও নেই। যাত্রীদের মাঝেও অধিকাংশেরই মাস্ক নেই। একেবারে স্বাভাবিক সময়ের স্বাভাবিক অবস্থায় যাত্রীরা চলাচল করছে। প্রতিটি সিটে যাত্রী নেয়ার পাশাপাশি দাঁড় করিয়েও যাত্রী নেয়া হয়। অথচ ভাড়া দ্বিগুণ নেয়া হচ্ছে। নগরীর বিভিন্ন রুটে আগে ১০ টাকা ভাড়া ছিল এমন দূরত্বে বিশ টাকা ভাড়া নেয়া হচ্ছে। গতকাল আগ্রাবাদ, বারিক বিল্ডিং, কোতোয়ালী মোড়সহ কয়েকটি পয়েন্টে যাত্রীদের সাথে ভাড়া নিয়ে সহকারীর হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। নগরীর নতুন ব্রিজ থেকে কোতোয়ালী পর্যন্ত আসতে আগে ভাড়া দিতে হতো দশ টাকা। এখন ২০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। মোহাম্মদ হেলালউদ্দিন নামের একজন পরিবহন শ্রমিক দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালাচ্ছি। অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করছি। সরকারের সাথে আলোচনা করে যেই ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে সেই ভাড়াই আমরা নিচ্ছি। কিছু চালক সহকারী বেশি ভাড়া নেয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, বাস এবং হিউম্যান হলারগুলোর অধিকাংশের মালিকই পরিবহন শ্রমিক নেতা। তারা যেভাবে নির্ধারণ করে দেন, আমরা সেভাবে ভাড়া আদায় করি। ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে যেখানে দশ টাকা ছিল এখন সেখানে ১৬ টাকা নেয়া হয়। এটি সরকার ঠিক করে দিয়েছে। অবশ্য ক্যাবের পক্ষ থেকে বাড়তি ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলা হয়েছে গণপরিবহনগুলোতে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে একেবারে স্বাভাবিকভাবে। তাই বাড়তি ভাড়া নেয়ার কোনো মানে হয় না। নগর ট্রাফিক পুলিশের একজন কর্মকর্তা গতকাল দৈনিক আজাদীকে বলেন, দ্বিগুণ ভাড়া নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি তা নিয়ে থাকে তাহলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো। তিনি বলেন, সরকার ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। এর বেশি নেয়ার সুযোগ নেই। অপরদিকে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যাত্রী পরিবহনকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো চালক সহকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় বলেও পুলিশের ওই কর্মকর্তা উল্লেখ করেন।.tdi_3_3ff.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_3ff.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও