আইসোলেশনেও আফসোস নেই, শতাধিক প্রাণ বাঁচিয়ে বলছেন মান্নান আফজলরা
কারিপুর, কোনদোত্তি গ্রামের ঘরে ঘরে এখন হোম আইসোলেশন। করোনা আক্রান্তের সংখ্যাবৃদ্ধি নয়, বিমান দুর্ঘটনার জন্য। কেরলের কোঝিকোড় বিমানবন্দর লাগোয়া গ্রামগুলির প্রায় সব বাড়ি থেকেই লোকজন শুক্রবার রাতে ছুটে গিয়েছিলেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের যাত্রীদের উদ্ধার করতে। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা ঘোষণা করেছেন, ওই দিন যাঁরাই উদ্ধারে হাত লাগিয়েছিলেন, সবাইকে ১৪ দিনের হোম কোয়রান্টিন থাকতে হবে। তাতে অবশ্য আফসোস-অনুতাপ নেই কারও। বরং এত মানুষের প্রাণ বাঁচানোর তৃপ্তি হারিয়ে দিয়েছে নিভৃতবাসের সাময়িক সমস্যা।
কেন্দ্র থেকে রাজ্য, আহত যাত্রী থেকে হাসপাতালের চিকিৎসক, এয়ার ইন্ডিয়ার স্টাফ থেকে বিমানবন্দরের কর্মী, আমলা থেকে আমজনতা— সবাই এক বাক্যে স্বীকার করছেন, দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা এ ভাবে সাহায্য না করলে কোঝিকোড় বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হতে পারতে অনেক বেশি। কিছু দিন আগেও যে কেরলে আনারসের মধ্যে বাজি ভরে অন্তঃসত্ত্বা হাতিকে খাওয়ানো এবং সেই হাতির মৃত্যু ঘিরে রাজ্যবাসীর মুখ পুড়েছিল, নিন্দায় সরব হয়েছিল গোটা দেশ— সেই কেরলকেই এখন ঈশ্বরের দূতের মর্যাদায় প্রশংসা করছেন নেটাগরিকরা।