নোয়াখালীতে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে যুবলীগ কর্মী খুন, গ্রেপ্তার ৬
নোয়াখালীতে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে যুবলীগ কর্মী খুনের ঘটনায় নোয়াখালী-৩ আসনের এমপি ও কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মামুনুর রশিদ কিরণ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তার গাড়ি ঘেরাও করে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে নির্দেশদাতা স্থানীয় কাউন্সিলরের বিচার দাবি করে। বিক্ষোভের মুখে এমপি অজ্ঞাতনামা আসামিদের মধ্যে তাকে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করবেন আশ্বাস দিয়ে চৌমুহনী শহরে ফিরে আসেন। এ ঘটনায় থানা পুলিশ ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌর হাজীপুর এলাকায় পুকুরে গোসল করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় পৌর যুবলীগ কর্মী ও মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সাল গ্রুপের আব্দুল্লাহ আল নোমান হৃদয় (১৯)কে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। নিহত হৃদয় পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের আসলাম হাজীবাড়ীর আব্দুর রহিমের ছেলে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর এলকার স্থানীয় আকাশ মিয়ার পুকুরে গোসল করতে যায় হৃদয়। গোসল করার সময় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে একই এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের সোহাগের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এর কিছুক্ষণ পর সোহাগের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল বাড়ির সামনে এসে হৃদয়ের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো ছুরি দিয়ে হৃদয়ের পেটে কয়েকটি আঘাত করে। এ সময় হৃদয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও পৌর মেয়র ও চৌমুহানী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন ফয়সল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় পৌর মেয়র ঘটনার সুস্থ তদন্ত দাবি করেন। এদিকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ চৌধুুরী মানবজমিনকে জানান, শনিবার ময়নাতদন্তেরর জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে এবং এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা সময় পর্যন্ত মূল আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য যে, গত ১ বছরে বেগমগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে এ নিয়ে ৩ জনের মৃত্য হয়েছে এবং আহত হয়েছে অন্তত ১৮ জন। তবে পুলিশ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে আসামিদের গ্রেপ্তার করলে ও গ্যাং পরিচালনা কারী, পৃষ্ঠপোষক ও নেপথ্য মামা, ভাইয়া, বড় ভাই ও লিডারদের ডিটেকশন করতে পারেনি কারণ এদের পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা।