মহামারি জীবনের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ
"দুর্ভিক্ষ শ্রাবস্তীপুরে যবে/জাগিয়া উঠিল হাহারবে/, বুদ্ধ নিজভক্তগণে শুধালেন জনে জনে/ ‘ক্ষুধিতেরে অন্নদানসেবা/ তোমরা লইবে বল কেবা?'/ শুনি তাহা রত্নাকর শেঠ/ করিয়া রহিল মাথা হেঁট।/ কহিল সে কর জুড়ি, ‘ক্ষুধার্ত বিশাল পুরী,/ এর ক্ষুধা মিটাইব আমি/ এমন ক্ষমতা নাই স্বামী’!”
যখন মানবতার বিপর্যয় বা করোনা মহামারি চলছে তখন রবীন্দ্রনাথের অবিনাশী কবিতা আমাকে বারবার আহত করছিল এই জন্য যে, আমরা অভ্যস্ত হয়েছি এ বিশ্বাস নিয়ে, সৃষ্টির যা কিছু পরিবর্তন হয় তা মানুষের মঙ্গলে বা কল্যাণের স্বার্থেই হয়। কল্যাণে হোক সেটাই চাই, কিন্তু অকল্যাণের মুক্তির জন্য মানবজাতি যে খুব বেশি প্রস্তুত নয় তা আমরা বুঝলাম যখন এসে বিশ্ব বর্তমান সময়টাতে করোনার সাথে যুদ্ধ করছে; তাকে ঠেকানোর জন্য জন্য। সেই সাথে প্রতিষেধক আবিষ্কারে গবেষণায় ব্যস্ত বিশ্বখ্যাত একঝাঁক নবীন-প্রবীণ বিজ্ঞানকর্মী।