উরু ও নিতম্বের অবাঞ্ছিত চর্বি কমানোর জাদুকরী চার কৌশলে!

ডেইলি বাংলাদেশ প্রকাশিত: ০৬ জুলাই ২০২০, ১২:০৬

জীবনের নানা ব্যস্ততা ও স্ট্রেসের মাঝে আমরা নিজেদেরকেই সবার আগে ভুলে যাই। ভুলে যাই নিজের সঠিক যত্ন নিতে। আর এই অযত্নের কারণেই আমাদের দেহে জমতে থাকে অবাঞ্চিত মেদ। যা ধীরে ধীরে সৌন্দর্য নষ্ট করে, সেই সঙ্গে দেহে নানা রকম রোগেরও সৃষ্টি করে। জানেন কি, দৈহিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন সুষম খাবার খাওয়া, আর সেই সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চাও। এর ফলে দেহের প্রতি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঠিক সঞ্চালন ঘটে। চলুন জেনে নেয়া যাক এমন কিছু যোগাসন যা উরু ও নিতম্বের অংশগুলোতে অবাঞ্ছিত চর্বি কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও শারীরিক আরো নানা উপকার করবে। উৎকটাসন দেহের বিশেষ ভঙ্গিমা ও পদ্ধতির কারণে এই আসনের এরকম নামকরণ করা হয়েছে(উৎকট + আসন)।

এটি কেদারাসন নামেও পরিচিত। জানুন পদ্ধতি-  মেঝেতে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দুটো পা-এর মাঝখানে ফাঁক রেখে দাঁড়ান। এবার শরীরের দুদিকে হাত দুটিকে সামনের দিকে সমান্তরাল ভাবে নিয়ে আসুন এবং আঙুলগুলোকে টানটান রাখুন। এবার আস্তে শরীরকে ঋজু রেখে চেয়ারে বসার কায়দায় নিচু হতে থাকুন। সাধ্যমত নিচু হয়ে উরুর সঙ্গে ভূমির কোন তৈরি করুন। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন আর এই অবস্থায় নিজেকে রাখুন কমপক্ষে ১৫ সেকেন্ড। তারপর হাত দুটোকে ছেড়ে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনুন। এই পদ্ধতি ২ থেকে ৩ বার অনুসরণ করে রিপিট করুন কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে। ৫ মিনিট রোজ এটি করুন নিয়মমাফিক। উপকারিতা > এই যোগসনটি অভ্যাস করলে আপনার উরু ও নিতম্বের সংযোগস্থলের পেশী হয়ে উঠবে সুঠাম ও সবল।

অতিরিক্ত চর্বি কমবে। > বাতের ব্যথা দূর হবে। > কোমরের অংশকে সক্রিয় করে তোলে এবং পায়ের গোদ সারাতে সাহায্য করে এই আসনটি। বীরভদ্রাসন এই আসন করার সময় দেহের আকার অনেকটা বীর যোদ্ধাদের মতো দেখায় বলে একে বীরভদ্রাসন বলা হয়। জানুন পদ্ধতি- প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান। হাত দুটো জড়ো করে মাথার উপর তুলুন। এরকম অবস্থায় দেহের ভার নিয়ে আসুন নিজের ডান পায়ের উপরে এবং কোমর থেকে আস্তে আস্তে সামনের দিকে একটু ঝুঁকতে থাকুন। হাঁটু না ভেঙে বাম পা পেছনের দিকে প্রসারিত করে মাথা ও দৃষ্টি নিজের বামহাতের দিকে নিবদ্ধ করুন। এরপর হাত পা ও কোমর মাটির সঙ্গে সমান্তরালে রেখে ৩০ সেকেন্ড এই পোজ ধরে রাখুন। ২ থেকে ৩ বার রিপিট করতে পারেন ও মাঝে শবাসন করলে ভালো হয়।

উপকারিতা > মেরুদন্ডের হাড় নমনীয় ও দৃঢ় হয়। আর্থ্রারাইটিস এর রোগ থাকলে সেরে যায়। > পায়ের পেশী ও পাতা মজবুত হয়। তলপেট, কোমর, নিতম্বে বেশি মেদ জমতে পারেনা। সেতুবন্ধাসন দেহ উপরের দিকে তুলে সেতুর আকার দেয়া হয় বলে এমন নাম এই আসনের। শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি আসন এটি। চলুন জেনে নেয়া যাক পদ্ধতিটি- কোনো শক্ত সারফেস যুক্ত স্থানে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা দুটো হাঁটুর কাছে ভাঙ্গুন এবং আস্তে করে ওপরে তুলুন। হাত দুটো দেহের দু পাশে রেখে উপুড় করে রাখুন। এবার পিঠে চাপ দিয়ে সেটাকে উল্লম্ব অবস্থানে নিয়ে যান ফলে আপনার পিঠ, হাত ও পা মিলে সুন্দর একটা চতুর্ভুজ তৈরি করবে। নিঃশ্বাস রাখুন স্বাভাবিক। ১০ সেকেন্ড ধরে রেখে আবার করুন।

উপকারিতা > ঘাড়ের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি পায়। > মাথায় রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক হয় এবং মানসিক চাপ কমে। > উরুর স্নায়ুর কার্যকারিতা বাড়ে। > মেরুদন্ড, কাঁধ, পিঠ ইত্যাদির নমনীয়তা বৃদ্ধি পায়। শলভাসন শলভ শব্দের অর্থ হলো ফড়িং। এই আসন করার সময় বডির ধাঁচ অনেকটা ফড়িং এর পুচ্ছের মতো দেখতে হয় বলে এইরকম নামকরণ। চলুন জেনে নেয়া যাক পদ্ধতি- থুঁতনি ম্যাট এ রেখে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটির তালু আনুভূমিক রেখে শরীরের দুপাশে রেখে দিন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও