পাটকল বন্ধ নয়, দুর্নীতিবাজদের নামসহ শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি
পাটকল বন্ধ করে অসংখ্য মানুষকে পথে না বসিয়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রাজনৈতিক ও শ্রমিক নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন। পাশাপাশি আত্মসাৎকৃত টাকা উদ্ধার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করাসহ সরকারের নিকট ৮ দফা দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
পাটকল বন্ধের অমানবিক সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের উদ্যোগে রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আশরাফ আলী আকন আট দফা দাবি জানান।
ঘোষিত দাবিসমূহ হচ্ছে
১. যাদের কারণে পাটকলগুলোতে ১০ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা লোকসান হলো তাদের নাম, পদবি এবং ঠিকানাসহ শ্বেতপত্র আকারে তাদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
২. দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, রাজনৈতিক কিংবা শ্রমিক নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান ও আত্মসাৎকৃত টাকা উদ্ধার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে।
৩. যাদের কারণে পাটকলগুলো বছর বছর বিপুল টাকা লোকসান দিয়েছে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দফতর, অধিদফতর, পরিদফতর এবং বিজেএমসির সকল পদ থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
৪. পাটকল বন্ধ নয় বরং সকল দুর্নীতিবাজদের টাকা উদ্ধার করে চায়না কোম্পানির আধুনিকায়ন ও মানসম্মত পণ্য উৎপাদনের পূর্বেকার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে হবে।
৫. পিপিপি নামক নতুন জঞ্জাল থেকে পাটকলগুলোকে সৎ ও যোগ্য লোকদের হাতে তদারকির দায়িত্ব দিতে হবে।
৬. পাটের বৈদেশিক বাজার ধরার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নয় বরং দক্ষ বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৭. দুর্নীতির হিংস্র থাবায় বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ ক্ষত-বিক্ষত। দেশের রাজনীতি দূষিত, বিষাক্ত এবং কলুষিত। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আজ চরম বিতর্কিত। বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরা চরমভাবে নিরুৎসাহিত। এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে দেশের সকল মন্ত্রণালয়, অধিদফতর, পরিদফতর এবং সমস্ত করপোরেট সংস্থাগুলো থেকে দুর্নীতিবাজ এবং এর সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেট সদস্যদের বের করে দিতে হবে; সে যে কেউ হোক না কেন? উচ্চপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে সকল মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ১০ বছর আগে এবং ১০ বছর পরের সম্পদের তালিকা শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশ করতে হবে।