২৭ মণ ওজনের সুলতানের দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা
সামনে কোরবানির ঈদ। তাই কোরবানির জন্য প্রস্তুত করে লালন পালন করা হচ্ছে সুলতানকে। শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সুলতানের বসবাস।
বাংলদেশে জন্ম হলেও তার আদিবাস সুদূর কানাডায়। আড়াই বছর বয়সে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতা ও ৯ ফুট লম্বা পারিবারিকভাবে দেয়া এই সুলতান নামের এই বিশাল বড় ষাড় গরুটিকে দেখতে প্রায়ই বাড়িতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। আর মালিক সুলতানকে বিক্রি করতে দাম হাঁকাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা।
নিজ বাড়িতে প্রায় ২৭ মণ ওজনের এক কানাডিয়ান জাতের বড় ষাঁড় পালনে করে চমক দেখিয়েছেন রুহুল আমীন। রুহুল আমীনের বাড়ি উপজেলার বাঘবেড় ইউপির রানীগাঁও গ্রামে। পারিবারিক ও ঘরোয়া পরিবেশে লালন পালন করায় এই গরুটির নাম রাখা হয়েছে সুলতান। গরুর মালিকের দাবি শেরপুর জেলায় এ সুলতানই সবচেয়ে বড় আকৃতির গরু।
গরুর মালিক রুহুল আমীন জানান, নিজের গাভিতে উন্নত জাতের কানাডা থেকে আমদানি করা কানাডিয়ান বীজ। এ থেকে এই গরুর জন্ম দেয়া হয়েছে। আর গরুর মালিক নিজে পল্লী পশু চিকিৎসক হওয়ায় তাকে পালন করা হচ্ছে স্বযত্মে। তাছাড়া সুলতানকে প্রতিদিন নিয়মিত গরমের সময় চারবার ও শীতের সময় দুইবার গোসল করানো হয়। মালিকের অনুপস্থিতে সুলতানকে আদর যত্মে রাখেন পরিবারের লোকজন।
বিদেশি জাতের এই ষাঁড় গরুটি ঘরে রেখেই নিজ সন্তানের মতো করে লালন পালন করা হচ্ছে তাকে। বিশেষ প্রয়োজনে বছরে দুই তিনবার ঘরের বাইরে বের করা হয়। নিয়মিত খর ভূষি ও বাজার থেকে উন্নত মানের পশু খাদ্য ক্রয় করে খাবার দেয়া হয়। তাতে প্রায় প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা খরচ হয় মালিকের।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- গরু
- কোরবানীর ঈদ
- গরুর দাম