লকডাউন বাস্তবায়নে বাসিন্দাদের সহযোগিতা চায় প্রশাসন
ওয়ারী এলাকায় চলছে দ্বিতীয় দিনের লকডাউন। অনেকেই নিয়ম অমান্য করে এবং জোরপূর্বক বের হওয়ার চেষ্টা করছে। তারা যেন এমনটি না করেন সে বিষয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া লকডাউন বাস্তবায়নে বাসিন্দাদের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রশাসন এবং স্বেচ্ছাসেবকরা। রোববার (৫ জুলাই) ওয়ারী এলাকার লকডাউন পরিদর্শন শেষে এমন অনুরোধ জানান ওয়ারী জোনের সিনিয়র পুলিশ কমিশনার মো. হান্নানউল ইসলাম।
তিনি বলেন, লকডাউন সরকার নির্ধারিত উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনা। এখানে সরকার একটা প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলে দিয়েছে কি করা যাবে, কি করা যাবেনা। কে বের হবে আর কে বের হবে না। সে দৃষ্টিতে বলা যায় এখানে সাধারণ ছুটি দেয়া হয়েছে। এই এলাকায় ব্যবসায়ী শ্রেণীর মানুষ থাকার কারণে বাইরে বের হওয়ার প্রবণতা কিছুটা বেশি রয়েছে। তবে যারা নিয়মের মধ্যে পড়বেন শুধুমাত্র তারাই বের হতে পারবে। আর যারা জোরপূর্বক বের হওয়ার চেষ্টা করছে বা বের হয়েছে আমরা সে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবো তারা আসলে কেনো বের হয়েছে।
এছাড়া লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য এলাকার বাসিন্দারা যেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করেন সে বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
সকাল থেকেই লকডাউন এলাকায় চলছে কিছু বিশৃঙ্খলা। এসব বিষয় গুরুত্বের সাথে দেখছে প্রশাসন। তারা বলছেন, এলাকার মানুষ সচেতন। কিন্তু যারা লকডাউন মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে সকাল থেকে বেশ কয়েকবার সেনাবাহিনীর সদস্যদেরকে লকডাউন এলাকায় টহল দিতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে ওয়ারী জোনের ডিসি শাহ্ ইফতেখার গণমাধ্যমকে বলেন, যদি কেউ জোর করে বের হয়ে থাকেন, তাহলে ঠিক করেননি। রেড জোন বাস্তবায়নে আমাদের টহল টিম আছে। সার্বিক দেখাশোনা করছেন তারা। কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেখানে পুলিশ সহযোগী হিসাবে কাজ করবে।
৪১নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়কারী মামুন বলেন, অনেকেই আমাদেরকে হুমকি দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করছে। তবে এলাকার বাসিন্দারা লকডাউন মেনে চললেই আমাদের কষ্ট সার্থক হবে। তাদের প্রতি সেই অনুরোধই জানাই।