লাল-সবুজ পতাকা অস্তিত্বে, তাই শিবনারায়নের পাশে দাঁড়িয়েছি
ঢাকা: করোনা ভাইরাস মহামারির এই সময়ে বাসা থেকে একদমই বের হই না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং পরিবারের সুরক্ষার জন্য গৃহবন্দি হয়ে আছি প্রায় ৩ মাস ধরে। এই অবস্থায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রায় সব ধরনের কাজই করছি। সবার সঙ্গে যোগাযোগও হচ্ছে। ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের পরিকল্পনা ও নির্দেশনা নিয়ে সময় কেটে যাচ্ছে।
এরই মাঝে দুইদিন আগে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার শিবনারায়ন দাসের অর্থাভাবে অসহায় জীবন-যাপন আমার দৃষ্টিগোচর হয়। এরপর নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেনি। আমি বিশ্বাস করি, লাল-সবুজের পতাকা অস্তিত্বে মিশে আছে। তাই লাল-সবুজের এই পতাকার ডিজাইনার শিবনারায়ন দাসের পাশে দাঁড়ানোটা আমার নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।
শুক্রবার রাতে দৈনিক ভোরের পাতা অনলাইন ভার্সনে ‘লাল-সবুজের পতাকার ডিজাইনার শিবনারায়নকে ড. কাজী এরতেজা হাসানের আর্থিক অনুদান’ শিরোনামে খবরটি প্রকাশ হলে অনেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকেও ফোন করে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার এই উদ্যোগে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। তিনি নিজেও উদ্যোগী হয়ে শিবনারায়ন দাসের দায়িত্ব নেয়ার কথা জানিয়েছেন। আমি মনে করি, একাত্তরের সুমহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ পেয়েছিল চির কাঙ্ক্ষিত একটি লাল-সবুজের পতাকা।