সরকারি ব্যাংক ‘গ্রাহকবান্ধব নয়’ অভিযোগ আর নেই

জাগো নিউজ ২৪ মো. শফিকুল ইসলাম প্রকাশিত: ০৪ জুলাই ২০২০, ২০:১৪

মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম। রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। ১৯৮৪ সালে ব্যাংকটির সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০৮ সালে পদোন্নতি পান মহাব্যবস্থাপক হিসেবে। পরে ডিএমডি হন। এরপর আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের এমডি হিসেবে দায়িত্ব পান শামস-উল ইসলাম। ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট তিনি যোগ দেন অগ্রণী ব্যাংকের এমডি ও সিইও হিসেবে।

শামস-উল ইসলাম জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেন বৈশ্বিক বাণিজ্যে স্থবিরতা নামানো করোনাভাইরাস, এতে ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্ব-অর্থনীতি, চলমান নানা সংকট, উত্তরণের উপায় এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন শফিকুল ইসলাম।

জাগো নিউজ: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি। চলমান এ সংকটে অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি ব্যাংক খাতের কী অবস্থা?

শামস-উল ইসলাম : করোনাভাইরাস যে পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে এই অবস্থায় আমরা কোনোদিন পড়িনি। এটা নতুন একটা পরিস্থিতি। কোনো ধরনের প্রস্তুতি ছাড়াই আমাদের এ মহামারি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। অনেক নতুন অভিজ্ঞতাও হচ্ছে। প্রথম ধাক্কাটা আমরা কাটিয়ে উঠেছি।

প্রথম অবস্থায় অনেকে অফিসে আসতে চাইতেন না। যার কারণে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রমে সমস্যা হয়েছিল। এখন ওই অবস্থা নেই। কর্মকর্তারা আসছেন, স্বাভাবিক কাজকর্ম চলছে। এটা সম্ভব হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে পরামর্শ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনার ফলে।

জাগো নিউজ : এক্ষেত্রে আপনাদের অবস্থা কী?

শামস-উল ইসলাম : আমরা প্রাথমিক সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হচ্ছি। আমাদের প্রায় ১৩ হাজার কর্মী। তাদের সবসময় দিক-নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে গ্রাহকের শতভাগ সেবা নিশ্চিত করা যায়, সার্বক্ষণিক সেই পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এজন্য আমরা ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে জোর দিচ্ছি। কীভাবে ব্যাংকের শাখায় না এসেও গ্রাহকের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতে পারেন, এ বিষয়টিতে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

করোনাভাইরাস আমাদের ক্ষতি করেছে। ব্যাংকের তিনজনকে হারিয়েছি আমরা। এ ক্ষতি থেকে আমরা অনেক শিক্ষা নিয়েছি; যা আমাদের আগামীর পথচলার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। আগামীতে আমরা গ্রাহকের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছাতে পারব, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

জাগো নিউজ : চলমান পরিস্থিতিতে গ্রাহকের প্রত্যাশা সম্পর্কে যদি বলতেন…

শামস-উল ইসলাম : মহামারি-পরবর্তী গ্রাহকের নতুন নতুন অনেক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হবে। তারা ঘরে বসে ব্যাংকিং সেবা চাইবেন। এখন সীমিত সময়ে লেনদেন হলেও এটা আরও বেশি সময় ধরে চালানোর একটা চাহিদা সৃষ্টি হবে। অর্থাৎ গ্রাহক চাইবেন ২৪ ঘণ্টা লেনদেন করতে। এসব বিষয় মাথায় নিয়ে আমরা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করছি। আমাদের সব শাখাকে ডিজিটালাইজড করার পরিকল্পনা করছি। আমাদের সফটওয়্যারগুলোও আপডেট করা হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও