ঢাকা: কয়েকবছর ধরেই ঈদুল আজহায় কাঁচা চামড়ার দাম নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড চলছে। লাখ লাখ টাকার চামড়া পচে নষ্ট হওয়ার রেকর্ডও আছে। গত বছরও একই অবস্থা ছিলো। লাখ টাকার গরুর চামড়াও বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকায়। সরকারের হস্তক্ষেপে ট্যানারি মালিকরা চামড়া সংগ্রহ শুরু করলেও আড়তের বকেয়া পড়ে আছে আগের মতোই। তাই এবারও একই ধরনের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন আড়তদাররা। রাজধানী পোস্তার আড়তদাররা বলছেন, এবারও ২৫০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। গত বছরের চামড়া বিক্রি বাবদ ট্যানারি মালিকদের দেওয়া চেক আজও ক্যাশ হয়নি।
তারা বলছেন, হাতে নগদ অর্থ নেই। বকেয়া আর ব্যাংক ঋণ না পেলে এবারও লাখ টাকার গরুর চামড়া ২০০ টাকার বেশি হওয়া নিয়ে সংশয় আছে। তবে সার্বিক বিষয় নিয়ে চলতি সপ্তাহে আড়তদাররা জরুরি সভা ডেকেছেন। শনিবার (০৪ জুলাই) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পোস্তাগোলায় চামড়ার আড়ত খোলা থাকলেও গত তিন মাস ধরে অনেক মালিক আড়তে আসেন না। কিছু চামড়া কেনাবেচা হলেও সেগুলো কর্মচারীরাই দেখভাল করছেন। অনেক আড়তে লবণ মেখে রাখা হয়েছে কাঁচা চামড়া। পোস্তায় আড়তদার সমিতি বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে কথা হয় আড়তদার ও চামড়া ব্যবসায়ী মো. হুমায়নের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া আছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা।
তারা বেশ কয়েক বছর ধরে বকেয়া পাওনা পরিশোধ করছেন না। গত বছর ট্যানারি মালিকরা যে ব্যাংক চেক দিয়েছেন তা আজও ক্যাশ করা যায়নি। তিনি বলেন, পাওনা টাকা আদায় আর ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভর করছে চামড়ার বাজার। আমাদের কাছে নগদ অর্থ নেই। এখন ব্যাংক ঋণ পেলে চামড়া কিনতে পারবো, না হলে গত বছরের মতোই লাখ টাকা দামের গরুর চামড়া ২০০ টাকায় কিনতে হবে। অপর আড়তদার সাইফুল ইসলাম বলেন, সার্বিক বিষয় নিয়ে আমাদের অ্যাসোসিয়েশনেরর পক্ষে চলতি সপ্তাহে জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, প্রকৃত ব্যবসায়ীরা সুবিধা পায় না। কিছু ব্যক্তি সরকারের সুবিধা নেয়, কিন্তু বিপদে পাশে থাকে না। আমাদের চামড়া কেনার প্রস্তুতি আছে। এখন অর্থ পেলেই হবে। না হলে বাজার মন্দা যাবে, চামড়া কেনা হবে না।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.