করোনাভাইরাস ও ইনফ্লুয়েঞ্জার মধ্যে পার্থক্য কী?

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ০৪ জুলাই ২০২০, ১৬:৩৭

কিছুতেই যেন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না করোনাভাইরাসকে। পুরো পৃথিবীর মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম এই ক্ষুদ্র জীবাণু। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের দিন-রাত পরিশ্রমের পরেও নির্ভরযোগ্য কোনো সমাধান মেলেনি এখনও। আর এমন অবস্থায় ঠান্ডা লাগলে বা জ্বর-সর্দি দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়েও থাকা যায় না। যেহেতু এই সময়টি ঋতু পরিবর্তনের সময়, তাই অনেকেই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন। তাই জ্বর-সর্দি হলেই তা করোনাভাইরাস ভেবে নেবেন না।

চিকিৎসকদের মতে, ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গের সঙ্গে করোনাভাইরাসের উপসর্গ প্রায় এক হলেও, খুব সূক্ষ্ম কিছু পার্থক্যের মাধ্যমে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও করোনাকে আলাদা করা সম্ভব।

বোল্ডস্কাই জানাচ্ছে করোনা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা এই দুটি ভাইরাসের উপসর্গের মধ্যে পার্থক্যগুলো কী-

ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষণ:

* এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে হালকা থেকে মাঝারি জ্বর ও গা ম্যাজম্যাজে ভাব দেখা দেয়।
* জ্বর সাধারণত দুই থেকে তিন দিন বা খুব বেশি হলে চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে সেরে ওঠে।
* সামান্য সর্দি ভাব, কখনও কখনও আবার নাক দিয়ে পানি পড়ে।
* এই সমস্ত কিছুর সঙ্গে হাঁচি এবং হালকা কাশিও থাকে।
* সারা গায়ে ব্যাথা ও অসহ্য মাথার যন্ত্রণা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনাভাইরাসের পরিচিত লক্ষণ:

* জ্বর
* শুকনো কাশি
* শারীরিক দুর্বলতা
* গলা ব্যথা কম সাধারণ লক্ষণ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনাভাইরাসের কম পরিচিত লক্ষণ:

* পা, হাত ও শরীরের অসহ্য যন্ত্রণা
* পেট খারাপ
* মাথার যন্ত্রণা
* স্বাদ ও ঘ্রাণ শক্তি হারিয়ে ফেলা
* ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়া
* পায়ের আঙ্গুলে লালচেভাব জন্ম নেয়া বা বিবর্ণতা।

গুরুতর লক্ষণ

* শ্বাসকষ্ট
* বুকে অসহ্য ব্যথা।

করোনাভাইরাসের এসব লক্ষণ ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার দিন থেকে মাত্র ৫ দিনের মাথায় দেখা দেয়। কখনো কখনো লক্ষণ দেখা দিতে ১৪ থেকে ২১ দিন পর্যন্তও সময় লাগে।

যেসব সতর্কতা মেনে চলবেন:

* উভয়ের ক্ষেত্রেই সুষম খাদ্য গ্রহণ ও শরীরচর্চার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করা। কারণ এই দুই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ঠিক রাখতেই হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও