দীর্ঘদিন সংস্পর্শ এড়িয়ে চললে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে পারে
দীর্ঘদিন সংস্পর্শ এড়িয়ে চললে অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেছেন, ‘করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অর্থনৈতিক অনিরাপত্তা অনেকের মনের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করেছে। যা অনেকেরই নিয়মিত ঘুমকে ব্যাহত করছে। এই মহামারির সময় পর্যাপ্ত ঘুম খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিদিন অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। এটা আমাদের মন ও শরীর দুটোই ভালো রাখবে।’ ‘করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর, একই সাথে কষ্টকর ব্যবস্থাপনাটা হলো শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা বা একে অপরের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। ইতিবাচক স্পর্শ আমাদের শরীরে ডোপামিন, সেরোটোনিক, অক্সিটোসিন নামের হরমোন নিঃসরণ বাড়ায় এবং কটিসল নিঃসরণ কমায়। যার ফলে ইতিবাচক অনুভূতির সৃষ্টি হয়, যেমন অনুপ্রেরণা, সন্তুষ্টি, নিরাপত্তা, মানসিক চাপ মুক্তি ইত্যাদি। দীর্ঘদিন সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার বিষয়টি মানুষের মনে মানসিক দূরত্ব তৈরি করতে পারে, শিশুর সম্মিলিত বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে, রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে পারে এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে।’
শনিবার (৪ জুলাই) দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে বলতে গিয়ে এ তথ্য জানান অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
এ সময়ে করণীয় তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এই সময় বাড়ির শিশু ও বয়স্কদের বিশেষভাবে যত্ন নিন। মনে রাখবেন, যেকোনো দুর্যোগে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বিপদাপন্ন এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। বয়স্ক মানুষ হঠাৎ শিশুর মতো অবুঝ হয়ে উঠতে পারে। শিশুরা খিটখিটে বা অস্থির হয়ে উঠতে পারে। তাদের প্রতি সংবেদনশীল হোন। বিশেষ করে তাদের সামনে কোনো রকম ঝগড়া বা সহিংসতা প্রদর্শন করবেন না।’
‘সংসারে নারীর প্রতি যত্নবান হোন। বেশিরভাগ সংসারেই নারী প্রাথমিক ও একমাত্র সেবাদানকারী। যেকোনো সংকটে তার কাজের চাপ ও মানসিক চাপ বহুগুণ বেড়ে যায়। তাছাড়া নারী নিয়মিত মাসিক-পূর্ব বিষণ্নতা, প্রসবোত্তর বিষণ্নতা, পঞ্চাশোর্ধ্ব নারীদের পোস্ট ম্যানুপোজার উপসর্গ বা বিষণ্নতা। হরমনের ভারসাম্যহীনতা বা ইত্যাদি বিষয় বিশেষ মনোযোগের দাবি রাখে। তাদের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিন। সংবেদনশীল আচরণ করুন এবং সহযোগিতা করুন। নারীর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা পরিহার করুন’, যোগ করেন নাসিমা সুলতানা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত এ মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘বাগান করা, পোষা পশুপাখিকে আদর-যত্ন করলেও ভালো অনুভূত হয়। যারা একা থাকেন তাদের জন্য নিয়মিত ঘুম ও শরীর চর্চা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা, ভার্চুয়ালি সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখা, সুস্থ বিনোদন যেমন নাচ-গান-সিনেমা দেখা, ছবি আঁকা, বাগান করা, এমন কি রান্না করাও ইত্যাদি কর্মকাণ্ড মানসিক চাপ কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে।’
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.