শরীর, মন আর মানছে না। ছুটে যেতে চাইছে মাঠে। হাতে নিতে ইচ্ছে করছে ব্যাট-বল। নেটে ঘাম ঝরিয়ে দেখা দরকার, সব ঠিক আছে কিনা! শুধু অলরাউন্ডার রুমানা আহমেদ কেনো, এমন আকুতি এখন দেশের সব ক্রিকেটারেরই।
লম্বা সময় স্কিল ট্রেনিং করতে না পারায় স্বাভাবিকভাবেই অস্থিরতায় ভুগছেন ক্রিকেটাররা। নিজের উপর বিশ্বাস হারাতে শুরু করেছেন কেউ কেউ। ঘরে বসে যতই ফিটনেস নিয়ে কাজ হোক, ব্যাট-বলের সংযোগ ঘটাতে না পারায় ক্রিকেটারদের মনে পিছিয়ে পড়ার ভয়। নারী ক্রিকেটারদের খেলার সঙ্গে বিচ্ছেদ চার মাস ধরে। করোনাভাইরাসের কারণে ঘরবন্দি হয়ে থাকতে থাকতে বিপর্যস্ত তারা।
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ করে ৫ মার্চ অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফেরার পর দল হয়ে আর মাঠে নামা হয়নি সালমা-রুমানাদের। মার্চের মাঝামাঝি বিসিবির ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পরই মেয়েরা ছুটে যান যার যার গ্রামের বাড়ি। জাহানারা আলম ও লতা মণ্ডল শুধু ঢাকাতেই থেকে গেছেন। সবাই ফিটনেস নিয়ে প্রচুর কাজ করলেও স্বস্তি মিলছে না। করোনা পরিস্থিতি যতই খারাপের দিকে গেছে, দূরত্ব বেড়েছে স্কিল ট্রেনিংয়ের সঙ্গে।
চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপে ওয়ানডে অধিনায়ক রুমানা জানালেন যে অবস্থা তাতে শুরু করতে হবে একদম শূন্য থেকে, ‘ডিফেন্স থেকে শুরু করতে হবে। ছেলেদের অনেক দলই এ মাস থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে। এখনো যদি শুরু করা যায় তাও হয়। নইলে পিছিয়ে পড়বো।’
অবশ্য বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি যে পর্যায়ে আছে তাতে অনুশীলন শুরুর পথও দেখতে পাচ্ছেন না টাইগ্রেস অলরাউন্ডার, ‘এখন পর্যন্ত আমরা সচেতন আছি, ঘরে আছি বলেই ক্রিকেটাররা সবাই সুস্থ আছি। ক্রিকেটারদের মাঝে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কম। যদি ক্রিকেট খেলাটা শুরু হয় এবং মাঠ থেকে কেউ যদি আক্রান্ত হয়, সেটি আরও বাজে ব্যাপার হবে। শুরু করে আবার বসে যেতে হবে আমাদের। করোনা পরিস্থিতি যদি কিছুটা ভালো হয় আর আমরা মাঠে নামি, তাহলে ভয়টা কম কাজ করবে।’
‘আমার ব্যক্তিগত মত হল অবস্থা একটু ভালোর দিকে গেলেই ক্রিকেট শুরু হওয়া দরকার এবং লিগও শুরু হওয়া উচিত। কারণ বিসিবির চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা ভালো নেই। অনেকেই চরম আর্থিক সংকটে দিন পার করছেন। লিগ ছাড়া তাদের রুটি-রুজির উৎস কিছু নেই।’
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.