কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

একই কবরস্থানে সমাহিত ১১৫টি শিশুর মুখ থেকে কয়েন উদ্ধার!

ডেইলি বাংলাদেশ প্রকাশিত: ০৪ জুলাই ২০২০, ১০:২৭

শিশুরা অনেক সময় খেলাচ্ছলে মুখে কয়েন নিয়ে থাকে। আবার অনেক সময় ভুলবশত কয়েন গিলেও ফেলে। তবে জানলে অবাক হবে যে, সম্প্রতি প্রত্নতাত্ত্বিকরা মুখে কয়েনসমেত এক শিশুর কঙ্কাল উদ্ধার করেছেন। পোল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের পোডকারপ্যাকি প্রদেশের নিসকো শহরের কাছে এমন নিদর্শন মেলে। সেখানে সড়ক নির্মাণের সময় একটি প্রাচীন কবরস্থানের সন্ধান পাওয়া যায়। যেখান থেকে প্রত্নতত্ত্ববিদরা ১১৫টি শিশুর দেহাবশেষ আবিষ্কৃত করেন। স্থানীয়রা অনেক আগে থেকেই বিশ্বাস করতেন এই অঞ্চলে একটি কয়েকশ বছরের পুরাতন কবরস্থান ছিল। তবে তার সঠিক অবস্থান কেউই জানতেন না।  বর্তমানে এই অঞ্চলটি বন-জঙ্গলে পরিপূর্ণ এবং কবরস্থানের কোনো চিহ্ন ছিল না। এই দেহাবশেষগুলো আবিষ্কারের মাধ্যমে জানা আসলে ওই স্থানটিতেই ছিল কবরস্থান। কবরস্থানটিতে প্রায় ৮০ শতাংশ কবরই ছিল শিশুদের। অদ্ভুত বিষয় হলো, প্রত্নতত্ত্ববিদরা এই শিশুদের দেহাবশেষের মুখে কয়েন পেয়েছিলেন। পোল্যান্ডের নিসকো শহরের এই কবরস্থানে শিশুদের বেশিরভাগ দেহ পৃথক কবরে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। তবে একটি কবরে চারটি শিশুকে পাশাপাশি সমাধিস্থ করা হয়েছিল। তাদের মাথা পশ্চিম দিকে রাখা ছিল। অন্যান্য মৃত দেহগুলোও পশ্চিম দিকে মাথা দিয়ে সমাহিত করে হয়েছিল।  একই কবরে সমাধিস্থ চারটি শিশুর মধ্যে একজন খুবই ছোট ছিল। তাদের একজনের পায়ের সঙ্গে অন্যজনের পা লাগানো ছিল। এই চারটি শিশুর মধ্যে হয়তো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সম্ভবত ভাই বোন। মৃতদেহগুলোর বেশিরভাগ বালির মধ্য থেকে আবিষ্কৃত হয়েছিল।

প্রত্নতত্ত্ববিদরা এই কবরস্থানের মৃতদেহগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের সময় দেখতে পান অধিকাংশ শিশুর মুখে কয়েন রাখা। এই সমাধিস্থলে খনন কাজ করা একজন প্রত্নত্তত্ববিদের মতে, হয়তো প্রাক খ্রিষ্টীয় সমাধির ঐতিহ্য অনুযায়ী শিশুদের মুখে সমাহিত করার সময় কয়েন দেয়া হয়েছিল। প্রাচীন গ্রিসে এই প্রথা প্রচলিত ছিল। সমাহিত করার সময় মৃত দেহের মুখে কয়েন রাখার রীতি উনিশ ১৯শতকের মাঝামাঝি সময়েও কিছু কিছু জায়গায় অনুসরণ করা হত। গ্রিক এবং রোমান পৌরাণিক কাহিনী অনুসরে, চারন বা খারন হ্যাডেসের ফেরিম্যান ছিলেন।

তিনি সদ্য মৃত ব্যক্তিদের আত্মা স্টাইক্স এবং অ্যাকেরন নদী পার করতেন। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, এই নদী জীবিত এবং মৃতদের জগত পৃথক করেছে। চারনকে পার করে দেওয়ার জন্য সমাহিত করার আগে মৃতদেহের সঙ্গে কয়েন দেয়া হত।  এটি ‘চারনের ওবোল’ নামে পরিচিত। এই কাহিনীতে আরো বলা হয়, যারা চারনের পারাপারের ভাড়া দিতে পারে না তাদের আত্মা কখনো নদী পার হতে পারেনা। ফলে চিরতরে এই পৃথিবীতে আটকা পড়ে। প্রায়শই মৃতদের মুখে রাখা হত এই কয়েন।

পোল্যান্ডের নিসকো শহরের কবরস্থানের শিশুদের মুখে পাওয়া কয়েনগুলোর বেশিরভাগ পোল্যান্ডের রাজা তৃতীয় সিগিসমুন্ড এর সময়ের।  তার সময় কাল ছিল ১৫৮৭ থেকে ১৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। বোরাতিনকি নামে পরিচিত কয়েকটি কয়েনও পাওয়া গিয়েছিল। এগুলো রাজা দ্বিতীয় ক্যাসিমিরের সময়ের। তার রাজত্বকাল ছিল ১৬৪৮ থেকে ১৬৬৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত।এই প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট থেকে অন্য গুরুত্বপূর্ণ কোনো নিদর্শন পাওয়া যায়নি। প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা, এই সমাধিস্থলে শিশুদের সমাধিস্থ করা সম্প্রদায় সম্ভবত খুব দরিদ্র ছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও