তিনদিনের মধ্যে জানানো হবে পাওনার পরিমাণ
বন্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশনের (বিজেএমসি) আওতাভুক্ত পাটকলগুলোর শ্রমিকরা কে কত টাকা পাবেন, তা তিনদিনের মধ্যে জানানো হবে। গতকাল রাজধানীর নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক।
শ্রমিকদের শতভাগ পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব কেএম আব্দুস সালাম এবং পাটকল শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের বিষয়টি এক বছর আগে ঠিক হয়েছে। আমরা যেহেতু লোকসানের ভার বইতে পারছিলাম না, আবার দেশের অর্থনীতিকেও চাঙ্গা করতে হবে। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ হয়, পাটকলগুলোকে কীভাবে আরো উন্নত মানের করা যায়। পুরনো প্রযুক্তি দিয়ে কারখানাগুলো টিকতে পারছে না। মাসের পর মাস লোকসান করছে। এখানে আমাদের শ্রমিক ভাইয়েরা দায়ী না, এটা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, আমি শ্রমিক ভাইদের বলব, যেখানে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েছেন, সেখানে ভাবার কোনো বিষয় নেই। আপনারা খুবই নিরাপদে আছেন, খুব শান্তিতে থাকবেন—এই আমার ধারণা।শ্রমিকরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকাটাই স্বাভাবিক। অনেকে বলেছেন কী পাব না পাব জানব কীভাবে? চলতি মাসের বেতন এ সপ্তাহের শেষের দিকে আপনাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। আরো দুই মাস নোটিস পিরিয়ড আছে। পরের মাসের প্রথম সপ্তাহে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা চলে যাবে।
এরপর বাজেট ক্লিয়ারেন্স হবে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনদিনের মধ্যে তালিকা তৈরি করতে। এর মধ্যে পাটকল শ্রমিকরা জেনে যাবেন কে কত পাচ্ছেন না পাচ্ছেন। পাটমন্ত্রী বলেন, সব সুবিধা-গ্র্যাচুইটি, অবসর সুবিধা, গোল্ডেন হ্যান্ডশেক শ্রমিকরা পাবেন। ২০১৫ সালের মজুরি অনুযায়ী করেছি। পাট শ্রমিকদের আমরা কোনোভাবে ঠকাব না—এ নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী আমাকে দিয়েছেন। শ্রমিকদের অর্ধেক টাকা নগদে আর অর্ধেক টাকায় সঞ্চয়পত্র কিনে দেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।এর আগে গত বৃহস্পতিবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১ জুলাই থেকে বন্ধ ঘোষণা করা রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের প্রতিজন শ্রমিক গড়ে ১৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ৫৪ লাখ টাকা পর্যন্ত পাবেন।