কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কেউ ওয়ারী ছেড়েছেন, কেউ ব্যস্ত জরুরি পণ্য কেনাকাটায়

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৩ জুলাই ২০২০, ২২:০৪

আবাসিক এলাকাটির চারপাশের প্রবেশমুখে বাঁশের বেড়া। সেখানে টাঙানো রয়েছে রঙিন ব্যানার, লেখা 'রেড জোন, লকডাউন’। জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াতের জন্য পৃথক দুটি সড়কের মুখে রয়েছে ছোট্ট ফটক। কিন্তু ফটক দুটি দিয়ে তেমন কেউ আসা-যাওয়া করছেন না। ভেতরের রাস্তাঘাটও ফাঁকা। সুপার শপে রয়েছে মানুষের ভিড়।

আজ শুক্রবার বিকেলে পুরান ঢাকার ওয়ারীর চিত্রটা ছিল এমনই। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত ওয়ারীর তিনটি রোড ও পাঁচটি গলি লকডাউনের অধীনে থাকবে। রোডগুলো হলো টিপু সুলতান রোড, যোগীনগর রোড ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন)। গলিগুলো হলো লারমিনি স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিট, ওয়্যার স্ট্রিট, র‌্যাংকিন স্ট্রিট ও নবাব স্ট্রিট।

অবশ্য এই লকডাউন শুরুর আগেই অনেক বাসিন্দা এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীরা। নবাব স্ট্রীটের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, গত কয়েক দিন ধরে পরিচিতদের অনেককেই সপরিবারে এলাকা ছাড়তে দেখা গেছে। তাদের অধিকাংশই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। কেউ কেউ ব্যবসা করেন। চাকরিজীবীরা জানিয়েছেন, তাদের প্রতিষ্ঠান টানা ২১ দিন ছুটি দিতে নারাজ। তাই চাকরি বাঁচাতে আপাতত অন্য এলাকায় পরিচিতদের বাসায় উঠছেন তারা। এ ছাড়া অনেকে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন।

ওয়ারী এলাকাটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন। স্থানীয় কাউন্সিলরের নেতৃত্বেই এই লকডাউন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কাউন্সিলর কার্যালয় সূত্র জানায়, আজ দুপুরের আগেই এই এলাকাগুলোতে যাতায়াতের সব কটি পথ বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াতের জন্য র‌্যাংকিং স্ট্রীটের উত্তরা ব্যাংকের রাস্তা ও ওয়্যার স্ট্রীটের হট কেকের দোকানের পাশের রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখন কেউ ওই দুটি ফটক দিয়ে যাতায়াত করতে চাইলে তাকে নির্দিষ্ট খাতায় যাতায়াতের কারণ এবং নিজ ঠিকানা লিখে বের হতে হবে। এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে একটি কন্ট্রোল রুম (০১৯৯৯৯২৬৩৩৯, ০১৮৭৩৩০১১১৪) খোলা হয়েছে। যেকোনো প্রয়োজনে এই দুটি মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন নাগরিকেরা।

বেলা তিনটার দেখা গেল ওয়ারীর যে সড়কগুলো লকডাউন করা হবে সেগুলো ফাঁকা। মানুষের চলাচল অনেক কম। রিকশা ও ব্যক্তিগত যান চলাচল নেই। তবে ওয়ারীতে ফার্মেসি, সুপার শপ, মুদি ছাড়া বাকি সব দোকানপাট বন্ধ। এর মধ্যে সুপার শপ ও মুদি দোকানে মানুষের ভিড় দেখা গেছে।

বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বলধা গার্ডেন এলাকায় রিকশায় মাইক নিয়ে ওয়ারী লকডাউনের ঘোষণা প্রচার করেছিলেন সিটি করপোরেশনের এক কর্মচারী। এ সময় তিনি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসাবাড়ি থেকে বের না হতে অনুরোধ জানান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও