খাশোগি হত্যা: ২০ সৌদি নাগরিকের বিরুদ্ধে তুরস্কে বিচার শুরু
অনুসন্ধানী সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার ঘটনায় ২০ সৌদি নাগরিকের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেছে তুরস্ক। এরমধ্যে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাবেক দুই শীর্ষ সহযোগীও আছেন। শুক্রবার (৩ জুলাই) ইস্তানবুলের একটি আদালতে অভিযুক্তদের অনুপস্থিতিতেই এ বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
২০১৮ সালের অক্টোবরে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগি। বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হলে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে রিয়াদ কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় কর্মকর্তাদের ভুলে নিহত হন ওই সাংবাদিক। তবে তার মৃতদেহের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। গত বছরের ডিসেম্বরে এই ঘটনায় পাঁচ কর্মকর্তাকে প্রাণদণ্ড দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও তাদের নাম প্রকাশ করেনি সৌদি আরব। সম্প্রতি খাশোগির ছেলে জানান তারা বাবার হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। তবে খাশোগির হত্যাকারীদের ক্ষমা করার অধিকার কারও নেই উল্লেখ করে তখনই প্রতিক্রিয়া জানান তার বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিস।
তুরস্ক আলাদাভাবে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চালিয়েছে। গত মার্চে ইস্তানবুলের চিফ প্রসিকিউটর ইরফান ফিদান এক বিবৃতিতে জানান, রাজপরিবারের সাবেক উপদেষ্টা সৌদ আল কাহতানি ও সাবেক গোয়েন্দা উপ-প্রধান আহমেদ আল আসিরির নির্দেশে খাশোগিকে হত্যা করতে সৌদি আরবের ১৫ সদস্যের একটি দল ইস্তানবুলে যায়। এই দলে তিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা ছিল। তাদেরসহ মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিচারের মধ্য দিয়ে খাশোগির মরদেহ কোথায় সে সম্পর্কে নতুন তথ্য-প্রমাণ বেরিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তার বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিস। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি তুরস্কের এই বিচারকাজের মধ্য দিয়ে খাশোগির মরদেহের সন্ধান মিলবে এবং হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে নতুন তথ্য-প্রমাণ বেরিয়ে আসবে।’
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.