করোনা-পরবর্তী বিশ্ব নিয়ে টেলিনরের তিন পূর্বাভাস

ডেইলি বাংলাদেশ প্রকাশিত: ০৩ জুলাই ২০২০, ১৫:২১

করোনা পরবর্তীকালে বিশ্ব কেমন হতে পারে, তা নিয়ে টেলিনরের গবেষণা দলের তথ্যে উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পূর্বাভাস। যা নতুন আকার দেবে আমাদের করোনা পরবর্তী বিশ্বকে। টেলিনর গ্রুপের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টেলিনরের গবেষণায় দেখা যায়, কোভিড-১৯ হতাশার পাশাপাশি ভূমিকা রাখবে আমাদের নতুন বিশ্ব গঠনে। করোনা-পরবর্তী বিশ্ব কেমন হবে এর উত্তরে গবেষণায় তিনটি পূর্বাভাস উঠে এসেছে যা নতুন আকার দিতে সহায়তা করবে করোনা-পরবর্তী বিশ্বকে। পূর্বাভাসগুলো হলো- নতুন অবকাঠামো নতুনভাবে কাজের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে বাড়ি কিংবা নিরপেক্ষ কর্মপরিবেশে থেকে কাজ করার ক্ষেত্রে কর্মীদের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকার আরো বেশি ডিজিটাল এবং যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়নের মাধ্যমে শহরগুলোকে কীভাবে সংগঠিত করা যায়, তা নতুন করে চিন্তা করার সুযোগ সৃষ্টি করবে।



এক্ষেত্রে নতুন কাজের ক্ষেত্র কর্মীদের শহরের নানা প্রান্তে এবং আবাসিক এলাকার কাছাকাছি থাকতে সহায়তা করবে, যা যাতায়াতের সময় বাঁচাবে। এর ফলে রাস্তায় ট্রাফিকও কমে যাবে, যা দূষণের পরিমাণ কমাতে, বায়ু ও জনস্বাস্থ্যের মান উন্নয়নে এবং উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। সর্বোপরি, বৈশ্বিক মহামারি পরবর্তী সময়ে শহরগুলোতে প্রথাগত অফিস কম দেখা যাবে। এর বিপরীতে নতুন কাজের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাবে। এতে শহর হবে পরিবেশবান্ধব এবং পথচারীদের চলাচলে সহায়ক। নিয়োগ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এ প্রক্রিয়ায় নিয়োগকর্তা ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে অ্যালগরিদম স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই-বাছাই করে অনুপযুক্ত প্রার্থীকে বাদ দেবে এবং উপযুক্ত প্রার্থীকে নিয়োগকর্তার সঙ্গে সংযুক্ত করবে।


ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং তারা কীভাবে নিজেদের উপযুক্ত করে তুলতে পারবে এ বিষয়ের ধারণা তরুণ ও কর্মহীনদের নিয়োগকর্তাদের জন্য আকর্ষণীয় প্রার্থী হিসেবে উপস্থাপন করতে সাহায্য করবে। সহায়তা করবে মানুষের গতিবিধির তথ্য সংক্রামক রোগ প্রসারের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে ডাটা ক্রমান্বয়েই গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠছে এবং আগামীতে আরো দ্রুত উঠবে। হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউয়ের প্রকাশিত নিবন্ধে নরওয়ে ও ডেনমার্কে মহামারির বিস্তার রোধে যে মডেল প্রয়োগ করা হয়েছে তা হতে পারে বিশ্বব্যাপী আরো বিস্তৃত ও সমাদৃত। এক্ষেত্রে, যারা সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি নিয়ে চিন্তিত তাদের নিশ্চিত করা হবে যে, অবস্থানগত তথ্য শুধুমাত্র মানুষের গতিবিধি সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা দেয় এবং দলীয়ভাবে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়।


গতিবিধি বিশ্লেষণ রোগ পূর্বাভাসের চেয়েও বেশি তথ্য প্রদানের সম্ভাবনা রয়েছে। এ তথ্য স্মার্ট সিটি পরিকল্পনা, পরিবেশগত বিশ্লেষণে সহায়তাসহ শিল্পখাত যেমন ভ্রমণ খাতের প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। টেলিনরের গবেষণায় মনে করা হচ্ছে, এ গবেষণা ধরে এগিয়ে গেলে আগামী দিনে স্মার্ট সিটি পরিকল্পনা, পরিবেশগত বিশ্লেষণে সহায়তাসহ শিল্প খাত যেমন ভ্রমণ খাতের প্রবৃদ্ধিতেও সহায়তা করতে পারে। এ বিষয়ে টেলিনরের ভাইস-প্রেসিডেন্ট গর্ম আন্দ্রিয়াস গিরননেভেত বলেন, কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি আমাদের সবাইকে প্রচলিত ধারণার বাইরে ভাবতে সহায়তা করছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও