ভ্যাকসিনের দৌড়ে কে জয়ী হবে?

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৩ জুলাই ২০২০, ১৪:০০

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্বজুড়ে গবেষকেরা একটি ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যে ছুটছেন। এর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৪০টির বেশি ভ্যাকসিনের ওপর নজর রেখেছে। ভ্যাকসিন তৈরি ও পরীক্ষা করতে সাধারণত বেশ কয়েক বছর সময় লাগে। বেশ কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে তবেই ভ্যাকসিন ব্যবহারের উপযোগী হয়। তবে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে গবেষকেরা ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যেই তা সম্পন্ন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের তথ্য অনুযায়ী, ভ্যাকসিন মূলত ভাইরাসের প্রতিরূপ বা ভাইরাসের অংশ, যা সুরক্ষার কাজে ব্যবহার করা হয়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে জাগিয়ে অ্যান্টিবডি উৎপন্ন করে। তবে ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে অন্য ওষুধের চেয়ে উন্নত নিরাপত্তা মান বজায় রাখতে হয়। কারণ, এটি লাখো মানুষের শরীরে দেওয়া হয়ে থাকে। ভ্যাকসিন মূলত কয়েকটি ধাপে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। প্রি-ক্লিনিক্যাল ধাপের পরীক্ষায় গবেষকেরা ভ্যাকসিন মূলত পশুর দেহে প্রয়োগ করেন এবং তাতে প্রতিরোধী ক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করেন। এরপর পরীক্ষার প্রথম ধাপে অল্প কয়েকজন মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে এর নিরাপত্তা ও প্রতিরোধী ক্ষমতা দেখা হয়। দ্বিতীয় ধাপে কয়েক শ মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে এর নিরাপত্তা ও ডোজ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তৃতীয় ধাপে এসে কয়েক হাজার মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন দিয়ে এর কার্যকারিতা, নিরাপত্তা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এ সময় নিয়ন্ত্রিত গ্রুপকে ভিন্ন ওষুধ বা প্লাসেবো দিয়েও পরীক্ষা করে দেখা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গার্ডিয়ান একটি ভ্যাকসিন ট্র্যাকার প্রকাশ করেছে, যাতে ১৩২টি ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনক্যাল ধাপে, ১৪টি ভ্যাকসিন প্রথম ধাপে, ৮টি ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ধাপে, ২টি ভ্যাকসিন তৃতীয় ধাপে রয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। এ ট্র্যাকারে কোনো ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে বলে দেখানো হয়নি। এদিকে, ২ জুলাই হালনাগাদ করা নিউইয়র্ক টাইমসের একটি ট্র্যাকারে ১২৫টির বেশির ভাগই ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিক্যাল ধাপে, ১৪টি প্রথম ধাপে, ১১টি দ্বিতীয় ধাপে, ৩টি তৃতীয় ধাপে ও ১টি ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে বলে দেখানো হচ্ছে। অনুমোদন পাওয়া ভ্যাকসিনটি চীনের ক্যানসিনো বায়োলজিকসের। সামরিক পর্যায়ে পরীক্ষামূলক ব্যবহারের জন্য এটি অনুমোদন পেয়েছে।

গার্ডিয়ানের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা মিলে যে ভ্যাকসিন তৈরি করছে, তা মানুষের শরীরে শক্তিশালী প্রতিরোধী ব্যবস্থা তৈরি করে। এটি যুক্তরাজ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা হচ্ছে। এ ছাড়া তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে।

চীনের ক্যানসিনো বায়োলজকিস ও চীনের সামরিক বাহিনীর ঘনিষ্ঠ বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি তৈরি একটি ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ধাপে ইতিবাচক ফল দেখায়। তবে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়নি। বিশ্বের প্রথম করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন হিসেবে সামরিক বাহিনীতে ব্যবহারের জন্য এটি অনুমোদন পেয়েছে। তবে এটি বিস্তৃত পর্যায়ে কীভাবে বণ্টন করা হবে, তা পরিষ্কার করা হয়নি।

মার্কিন জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মডার্না এমআরএনএভিত্তিক একটি ভ্যাকসিন তৈরি করছে, যা শরীরে কৌশলে ভাইরাল প্রোটিন তৈরি করে। এর আগে কখনো সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে এমআরএ ভ্যাকসিন অনুমোদন পায়নি বা মডার্নাও আগে কোনো ভ্যাকসিন আনেনি। তবে এটি প্রচলিত ভ্যাকসিনের চেয়ে দ্রুত ও কম খরচে উৎপাদন করা যায়। এদিকে, করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরি নিয়ে আলোচনায় থাকা মডার্না তাদের ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা পেছানোর কথা বলেছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম ৬ দশমিক ২ শতাংশ কমে গেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও