'অপরিকল্পিত অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আত্মঘাতী'
অপরিকল্পিত অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আত্মঘাতী বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠনটি বলেছে: অপরিকল্পিত, অপ্রস্তুত ও বৈষম্যমূলক পন্থায় তা চালুর চেষ্টা হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আত্মঘাতী। পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
বৃহস্পতিবার এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ এসব কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়: করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন পুনরুদ্ধারে আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম চালু করা একটি সম্ভাব্য উপায় হতে পারে। শুরুতে শুধু স্নাতকোত্তর ক্লাসের শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইন শিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে। প্রযুক্তিগত অবকাঠামো নির্মাণের আগে স্নাতক শ্রেণির ক্লাস শুরু করা ঠিক হবে না।
আরও বলা হয়: বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অনলাইনে ক্লাস শুরু করলে বৈষম্য অবশ্যম্ভাবী আকারে দেখা দেবে। কারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রযুক্তিগত অবকাঠামো ও সক্ষমতা এখনো অনলাইন কার্যক্রম চালানোর ন্যূনতম পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি। করোনার দুর্যোগকালীন বিশেষ শিক্ষাপঞ্জি তৈরি করে সেই সময়সীমার মধ্যে শেখানো সম্ভব—এমন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচিও করা হয়নি। মহামারির কারণে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই বাড়ি ফিরে গেছেন এবং প্রান্তিক স্থানে উপযুক্ত ইন্টারনেট–সংযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিচ্ছিন্ন তাঁদের নতুন করে কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন কেনারও সামর্থ্য নেই। ইন্টারনেট সেবার অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং তা শিক্ষার্থীদের কাছে বিনামূল্যে পৌঁছানো ছাড়া শিক্ষাকে অনলাইনে নিয়ে গেলে তা নতুন ধরনের বৈষম্যের সৃষ্টি করবে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.