কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

তিনজন ডাক্তারের অভাবে চালু করা যাচ্ছে না কক্সবাজারের বিমান চলাচল

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ০২ জুলাই ২০২০, ১৮:৩৭

বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালনের জন্য গোটা জেলা শহরে নাকি তিনজন চিকিৎসক নেই। মাত্র তিনজন চিকিৎসকের অভাবেই চালু করা যাচ্ছে না বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের জেলা কক্সবাজারের বিমান চলাচল। এতে শত শত কোটি টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলার ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ও দেশের এয়ারলাইন্সগুলো।

সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, সৈয়দপুর (নীলফামারী) এবং যশোর রুটের ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। তবে ফ্লাইট চালানোর অনুমতি দেয়া হয়নি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রুট কক্সবাজারে। এ বিষয়ে বেবিচক বলছে, ফ্লাইট চলাচলে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন (আইকাও) যেসব পূর্বশর্ত দিয়েছে সেগুলো পূরণ করতে না পারায় এখনো কক্সবাজার বিমানবন্দরকে অনুমতি দেয়া হয়নি।

এ বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আইকাওয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ফ্লাইট চলাচল শুরু করতে হলে বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা ও চিকিৎসক থাকতে হবে। যেন একজন রোগী প্লেনে অসুস্থ বোধ করলে বিমানবন্দরে নেমে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে পারে। যেসব বিমানবন্দর চিকিৎসক ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে সেখানেই ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। আজ ২ জুলাই পর্যন্ত কক্সবাজার থেকে চিকিৎসকের বিষয়ে কোনো আপডেট জানানো হয়নি।

কমপক্ষে কতজন চিকিৎসক হলে বিমানবন্দর চালু হতে পারে? জানতে চাইলে মফিদুর রহমান বলেন, এমন কোনো সংখ্যা নির্দিষ্ট নেই। যশোর বিমানবন্দর রোস্টার ভিত্তিতে তিনজন চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে আমাদের জানিয়েছে, আমরা সেখানে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দিয়েছি। কক্সবাজার বিমানবন্দর এসব বিষয় নিশ্চিত করতে পারলেই তাদের অনুমতি দেয়া হবে।

কক্সবাজার বিমানবন্দর সূত্র জানায়, করোনার মহামারিতে যখন বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী কমার্শিয়াল ফ্লাইট বন্ধ ছিল তখন এখানে দুটি বিশেষ ফ্লাইট নেমেছে। এছাড়া নিয়মিত কার্গো ফ্লাইট চলছে। এ কারণে বিভিন্ন সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে চিকিৎসক রাখা হয় বিমানবন্দরে। তবে বর্তমানে চিকিৎসক সংখ্যা শূন্য।

এ বিষয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরের ম্যানেজার একেএম সাইদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, জেলার সিভিল সার্জন পাঁচজন চিকিৎসককে বিমানবন্দরে রোস্টারের মাধ্যমে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমরা তাদের বিমানবন্দরের আইডি কার্ড দিয়েছিলাম। কাগজে-কলমে এই বিমানবন্দরে এখনো পাঁচজন চিকিৎসক রয়েছেন।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে কক্সবাজার বিমানবন্দরের চিকিৎসকের সংখ্যা ‘শূন্য’।

সংকটের কারণে বিমানবন্দরে চিকিৎসক না দিতে পারার কথা স্বীকার করেন খোদ সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘বর্তমানে বিভিন্ন কোভিড হাসপাতালে প্রচুরসংখ্যক ডাক্তার জোগান দিতে হচ্ছে। তাই বিমানবন্দরের জন্য ডাক্তার ম্যানেজ করা কঠিন। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও