করোনা পজেটিভ শুনেও তাপস আমাকে জড়িয়ে ধরলো : মুন্নী

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ০১ জুলাই ২০২০, ১৫:০৯

করোনা জয় করেছেন গানবাংলা টেলিভিশনের চেয়ারপারসন ফারজানা মুন্নী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও কৌশিক হোসেন তাপস। গত ১৬ জুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন তারা দু’জন। প্রায় ১৫ দিনের আইসোলেশন আর যথাযথ চিকিৎসা শেষে গত ২৮ এপ্রিল আইইডিসিআরের পরীক্ষায় ও ২৯ এপ্রিল বেসরকারি একটি পরীক্ষার ফলাফলে তারা করোনা মুক্ত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সম্প্রতি ফেসবুক লাভইভে এসে নিজেদের করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন তাপস ও মুন্নী।

এই দুঃসময়ে যারা মানষিকভাবে তাদের সাহস দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এই দম্পতি। তাদের করোনারআক্রান্ত হয়ে কাটানো দিনগুলোর মধ্যে লুকিয়ে আছে অন্যরকম এক ভালোবাসার গল্প। ফারজানা মুন্নী শোনালেন সেই গল্প। স্বামীর প্রতি ভালোলাসা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‌‘প্রথমে আমরা পরিবারের পাঁচজন করোনা টেস্ট করিয়ে ছিলাম। টেস্টের রেজাল্ট হাতে পেয়ে দেখলাম আমি করোনা পজেটিভ। অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আর পরিবারের সবাইকে আমার থেকে দূরে থাকতে বলেছিলাম। তাপস যেই কাজটি করেছে সেটা হলো, আমার করোনা পজেটিভ শুনেই ও আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আমাকে বলল, ‘তুমি কোনো ভয় পেওনা, টেনশন করবে না, আমি তোমার সাথে আছি। আমি তোমার থেকে দূরে থাকবো না।

আমরা দু’জন এক সঙ্গে ফাইট করবো। আমি তোমার সাথেই থাকবো, তোমার টেক কেয়ার করবো। সেই সময়ের ফিলিংসটা আমি আপনাদের বলে বোঝাতে পারব না। ফেসবুকে সব সময় দেখে এসেছি, যখন কারো করোনা হয়েছে, মাকে ছেড়ে সন্তান চলে যাচ্ছে, পরিবারের সন্তানরা বাবাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে। আমার যখন করোনা ধরা পড়লো, মনে হলো আমিও একদম একা। কিন্তু সেই সময় তাপস আমাকে জড়িয়ে ধরলো। পরে তাপসেরও করোনা পজেটিভ আসে। এরপর বাঁচার লড়াই আমরা এক সঙ্গেই করেছি। আমি বলতে চাই- প্লিজ সবাই সবাইকে ভালোবাসুন। একমাত্র ভালোবাসারই জয় হয়।’ কৌশিক হোসেন তাপস বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমি যেটা অনুভব করলাম। কেউ আক্রান্ত হলে তাৎক্ষণিক মানষিক শক্তি প্রয়োজন। আমি যখন শুনলাম আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ আমার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, তখন ভাবলাম আল্লাহ আমাকে নতুন একটা পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে।

এই সময় আমি যদি আল্লাহর উপর ভরসা রাখি, তাহলে আমার কিচ্ছু হবে না। এই মানষিক শক্তিটা আমি নিলাম। দ্বিতীয় মানষিক শক্তি নিলাম, আমাদের ভালোবাসা কোনো দিন কমবে না। যতদিন জীবীত থাকবো ততদিন বাড়বে। যখন আমরা জানবো কয়দিন বাঁচবো কেউ জানিনা! তখন তো আরও ভালোবাসা বাড়া উচিৎ কমার কোনো সুযোগ নাই। কোন পরিবারের যদি এটা হয় তাহলে সেই সময় যেনো তাদের ভালোবাসা আরও বাড়ে।’ তাপস জানান, পরিপূর্ণ পারিবারিক সমর্থন, সহযোগিতা আর ইতিবাচক পরিবেশই তাদের দ্রুত করোনা মুক্ত করতে সাহায্য করেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বড় মেয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের সেবা করার চেষ্টা করেছে, একেবারে আমাদের মায়ের মতো। অন্য দুই রাজকন্যা তাদের ভালোবাসা সঞ্চার করে গেছে, যাতে আমরা মানসিকভাবে দৃঢ় থাকতে পারি এবং ইতিবাচক থেকে সফলভাবে এই যাত্রাটি শেষ করতে পারি।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও