করোনা রোগীর মৃত্যুর পর প্রায় ৪৪ ঘণ্টা মরদেহ বাসার ফ্রিজে পড়ে ছিল। সোমবার দুপুর তিনটায় ভারতের কলকাতার আমর্হাস্ট স্ট্রিটের একটি বাসায় ওই ব্যক্তি মারা যান। তারপর থেকে পরিবার একবার থানা, একবার স্বাস্থ্য ভবন, একবার কলকাতা পৌরসভা এইভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। দেহ সংরক্ষণের জন্যও একাধিক জায়গায় যোগাযোগ করেন। পরে মঙ্গলবার সকালে পরিবারের সদস্যরা যান কলকাতা পুরসভার অফিসে। নিয়ম জানিয়ে তারা জানিয়ে দেয় স্বাস্থ্য ভবনে যেতে। কিন্তু স্বাস্থ্যভবন থেকেও রিপোর্ট আনার জন্য বলে দেয়। রাত এগারোটায় রিপোর্ট হাতে পান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে মৃত ব্যক্তির করোনা পজিটিভ আসে। মঙ্গলবার থেকে একটি ফ্রিজে দেহটি সংরক্ষণ করে রাখা হয়।
বুধবার সকালের পর কলকাতা পৌরসংস্থা দেহ নেয়ার উদ্যোগ শুরু করেছে। জি নিউজ’র একটি প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতিবেশীরা জানায়, ওই ব্যক্তির করোনার উপসর্গ ছিল। মৃত্যু সংবাদ পেয়ে চিকিৎসক পিপিই পরে ওই বাড়িতে আসেন। করোনা আক্রান্ত কিনা সেই নমুনা ওই দিন সকালেই চিকিৎসকের পরামর্শে একটি বেসরকারি ল্যাবে দেয়া হয়েছিল। জানা গেছে, বাড়ি ফিরে খাওয়া-দাওয়ার পর হঠাৎ মৃত্যু হয়েছিল ওই প্রবীণের।
সেই কারণে ওই চিকিৎসক রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে বলেন। মৃতের আত্মীয় বলেন, মৃত্যুর পর আমরা থানায় যাই। তারা বললেন, স্বাস্থ্য ভবনে যোগাযোগ করুন। স্বাস্থ্য ভবনের হেল্পলাইনের কল করেও আমরা ফোনে পাইনি। হেল্পলাইন নম্বর বেজেই গেল। রাত নয়টা পর্যন্ত কিছু করতে না পেরে দেহটি সংরক্ষণ করার চেষ্টা করি। চিকিৎসক সেইমতো লিখেও দেন। কিন্তু কোনো সংরক্ষণ কেন্দ্র এই দেহ নিতে চায়নি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.