‘ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোভিড-১৯ চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের থাকা-খাওয়া বাবদ এক মাসে ২০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে’—এমন একটি তথ্য শনিবার বিকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার সংসদে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে চাওয়া ব্যাখ্যার জবাব দেয় ঢামেক কর্তৃপক্ষ। আসলেই কি খাবারে খরচ হলো ২০ কোটি টাকা? কর্তৃপক্ষের দাবি, মোট দুই হাজার ৭৬ জন জনশক্তি দরকার হয় এক মাসের জন্য। তাদের থাকা খাওয়াসহ সব খরচের বাজেট এটি।
এদিকে, চিকিৎসকদের থাকা-খাওয়ার বিষয়ে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয় বলে দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বাংলা ট্রিবিউনের হাতে এসেছে সেই হিসাবসহ ব্যাখ্যার কাগজের কিছু অংশ। এতে দেখা যায় ঢামেকের করোনা চিকিৎসকদের দুই মাসের যাতায়াতে ব্যবহৃত হয়েছে ১০টি ১২ সিটের মাইক্রোবাস, ১টি ১৫ সিটের মাইক্রোবাস, একটি ২৬ সিটের এসি টুরিস্ট বাস, দুইটি ৪৫ সিটের নন এসি বাস, চার রুটের চারটি বিআরটিসির ডাবল ডেকার ৭৫ সিটের নন এসি বাস। এই বাসের ভাড়া বাবদ এক মাসে ব্যয় হয় ৪৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮৭০ টাকা। দুই মাসে ব্যয় হয় ৯৩ লাখ ৯৭ হাজার ৭৪০ টাকা।
অন্যদিকে হোটেল ভাড়া ও খাওয়া বাবদ দুই মাসের ব্যয় দেখানো হয়েছে ১৩ কোটি ৬৪ লাখ ২৫ হাজার ৯৩৭ টাকা। মোট ৩০টি আবাসিক হোটেলের দৈনিক আবাসন খরচ ৬০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে। এখানে অনেক হোটেলেই থাকার বিলের সঙ্গে খাওয়ার বিল যুক্ত নয়।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকদের খাওয়া খরচ বাবদ যে ২০ কোটি টাকার কথা বলা হচ্ছে, সেটা কেবল খাওয়া খরচ নয়। তাদের থাকা-খাওয়া-যাতায়াত সবকিছু মিলিয়ে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য সাধারণ সময়ের চেয়ে চারগুণ বেশি লোকবল লাগছে। এ হাসপাতালে এখন প্রায় সাড়ে ৬০০ এর বেশি করোনা রোগী রয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন ইতোমধ্যে আমাদের যাতায়াত, আবাসন ও খাওয়া বাবদ ১৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যখন বাজেট চাওয়া হয় তখন জুন মাস পর্যন্ত প্রায় ২০ কোটি টাকার মতো বাজেট দেওয়া হয় এবং সেটা তারা বিবেচনা করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর অনুমোদন পায়।
ব্রিগেডিয়ার এ কে এম নাসির উদ্দিন আরও বলেন, আমরা অনুমোদন পেয়েছি গত পরশু রাতে। এখন হোটেল, যানবাহনসহ সংশ্লিষ্ট সবাই বিল পাঠিয়েছে, আমরা সেগুলো ‘স্ক্রুটিনাইজ’ করছি, চূড়ান্ত হলে সেগুলো পাঠানো হবে। ২০ কোটি টাকা দেওয়া হয়নি, এটা খুবই ‘ক্লিয়ার অ্যান্ড ক্লিন’ বিষয়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.