স্বাস্থ্যকর্মীর বাসায় ‘মিনি ক্লিনিক’, সিজারে নবজাতকের মৃত্যু

পূর্ব পশ্চিম প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২০, ১৬:০০

করোনাভাইরাসের ভয় দেখিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীর বাসায় গড়ে তোলা ‘মিনি ক্লিনিক’-এ এক প্রসূতিকে সিজার করতে গিয়ে নবজাতককে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধ। সোমবার (২৯ জুন) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী মায়া বেগমের রায়পুর পৌর শহরের টিসি সড়কের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকালে মৃত নবজাতকের মা মরিয়ম বেগম সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের শায়েস্তানগর গ্রামের প্রবাসী দেলোয়ারের স্ত্রী মরিয়ম বেগমের প্রসব ব্যাথা উঠে। এনিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যকর্মী মায়া বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এসময় তাদেরকে সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে করোনার ভয় ও টাকা বেশি খরচের কথা বলে মায়া।

একপর্যায়ে রায়পুর পৌর শহরের টিসি মোড়ে মায়ার নিজ বাসার মিনি ক্লিনিকে ওই প্রসূতিকে ভর্তি করা হয়। এসময় ৩ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে ওই প্রসূতির চিকিৎসা শুরু করা হয়। ছোট সিজারের আগে পেটে বাচ্চা জীবিত ছিল। এরপরই মৃত বাচ্চা প্রসব করিয়ে স্বাস্থ্যকর্মী নিজেই স্বজনদের জানায়। কিন্তু স্বজনরা ঘটনাটি তাৎক্ষণিক ইউএনও এবং পুলিশকে জানিয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত মরিয়ম বেগম বলেন, আমাদের ভয় দেখিয়ে স্বাস্থ্যকর্মী তার ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি করিয়েছেন। ছোট সিজারের আগে আমার বাচ্চা পেটে জীবিত ছিল। তারা আমার বাচ্চাকে মেরে ফেলেছে। আমি এ ক্লিনিক বন্ধসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরীন চৌধুরী পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্তদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীর উপযুক্ত বিচার করার আশ্বাস দিয়ে নবজাতকের স্বজনদের শান্তনা দেন তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগ রাখা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার লিখিত অভিযোগ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও