পম্পেও-মোমেনের টেলিসংলাপ, দ্বি-পাক্ষিক ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি

বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২০, ০৮:১৯

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল আর পম্পেও পুনরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করে বললেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদানের মধ্যদিয়ে মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের পর করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায়ও অসাধারণ ভূমিকা রাখছেন।

সোমবার সকালে (বাংলাদেশ সময় সোমবার সময় সন্ধ্যায়) পম্পেও টেলিফোন করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেনকে (যদিও স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রেসনোটে মন্ত্রীর নাম দেয়া হয়েছে মাসুদ বিন মোমেন)। টানা ৪০ মিনিটের মত কথা বলেন আটলান্টিকের দু’পাড়ের দুই মন্ত্রী। উভয়েই করোনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওই প্রেসনোটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় পরস্পরের সহযোগী হয়ে কাজ অব্যাহত রাখবে দু’দেশ। একইসাথে ইউএস-বাংলাদেশের মধ্যেকার বিদ্যমান সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়। করোনা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এ যাবত ৪৩ মিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্র প্রদান করেছে বাংলাদেশকে-এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পম্পেও বলেছেন, করোনা রোধে চলমান ভ্যাকসিন উদ্ভাবন/আবিষ্কারের জন্যে আন্তর্জাতিক উদ্যোগে বাংলাদেশের সাড়া এবং চিকিৎসকগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা-সরঞ্জাম প্রদানের ব্যাপারটিও সর্বত্র প্রশংসিত হচ্ছে।
এসময় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঠাঁই দেয়ার জন্যে ড. মোমেনসহ বাংলাদেশ সরকারের উদারতার প্রশংসাও করেন। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন যে, রোহিঙ্গা সংকটের জন্যে মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে এ যাবত বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র ৮২০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে। উভয় নেতা রোহিঙ্গাদের নিজ বসতভিটায় সম্মানের সাথে নিরাপদে মিয়ানমারে ফিরতে সক্ষম হন এমন চেষ্টায় ত্রুটি করবেন না বলেও একমত পোষণ করেন। টেকসই উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক স্থিতিকে স্থায়ী করতে তথ্য প্রবাহ অবাধ এবং সকল কাজে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার গুরুত্ব অপরিসীম বলে মন্তব্য করা হয়।

এদিকে এই টেলি-কনফারেন্স সম্পর্কে ড. মোমেনের সাথে নিউইয়র্ক থেকে যোগাযোগ করলে তিনি এ সংবাদদাতাকে জানান, করোনায় বিপর্যস্ত গার্মেন্টস শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো তাদের আগের অর্ডার বাতিল করেছে। এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এব্যাপারে তিনি পম্পেওর দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। একইসাথে জানিয়েছেন যে, চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্র অনেক ক্ষেত্রেই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ব্যবসায়ী সম্পর্ক ছিন্ন করছে। সেই শূন্যতা কাটিয়ে উঠতে চীনের বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগেরও অপূর্ব পরিবেশ বিরাজ করছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র অবাধে বিনিয়োগ করতে পারে।

এ আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে, এসব বিষয় হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র চেম্বার অব কমার্সের। বাংলাদেশ যেন তাদের সাথে এনিয়ে কার্যকর আলোচনা শুরু করে। একইভাবে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘাতক হিসেবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের সাথে কথা বলার আহবান জানিয়েছেন পম্পেও। এসময় মিয়ানমারের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের আহ্বান জানান ড. মোমেন। মিয়ানমারের জিএসপি সুবিধা বাতিলের প্রসঙ্গও উপস্থাপন করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও