বরিশালে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ নগরবাসী
বরিশাল শহর ও আশপাশের এলাকায় ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ। একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে নভেল করোনাভাইরাসের কারণে বাইরে যেতে মানা। এ অবস্থায় ঘরে থাকা দুর্বিষহ করে তুলছে লোডশেডিং। যদিও নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকে নগরীর অধিকাংশ কল-কারখানাই বন্ধ রয়েছে। তার পরও কেন এত লোডশেডিং, তা মানতে পারছে না নগরবাসী।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীসহ জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলায় এক মাস ধরে পিক-অফপিক আওয়ারে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
গ্রাহকরা জানান, বর্তমানে বিদ্যুত্চালিত বড় বড় প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি থাকার কথা নয়; তার পরও আগের চেয়ে এখন লোডশেডিং অনেকাংশে বেড়ে গেছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, বরিশালের নেতৃস্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা করোনার ভয়ে দীর্ঘদিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকায় এক প্রকার অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়েছে গোটা বরিশাল। সেই সুযোগে বিদ্যুৎ বিভাগ মনগড়াভাবে তাদের খেয়ালখুশিমতো বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। এদিকে ঘন ঘন লোডশেডিং হলেও মাস শেষে বিদ্যুৎ বিভাগ বড় অংকের বিল ধরিয়ে দিচ্ছে গ্রাহকের হাতে। এতে দিনের বড় একটি সময় বিদ্যুৎ না পেয়েও অতিরিক্ত বিল দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)। তাদের দুটি বিক্রয় ও বিপণন কেন্দ্রের আওতায় নগরীতে ১ লাখ ১৫ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারি থেকে সর্বশেষ মে মাসের বিল নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে এসব গ্রাহকের।বরিশাল ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিপণন কেন্দ্র-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী অমূল্য কুমার সরকার বলেন, গত এপ্রিল ও মে মাসজুড়ে করোনা পরিস্থিতি খারাপ থাকায় তাদের কর্মীরা বাসায় বাসায় গিয়ে মিটার রিডিং (পরীক্ষা) করে বিল করতে পারেননি। এ কারণে কিছু ভুল হতে পারে। কিন্তু যারাই বিলের ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন, তাদের বিষয়ে সমাধানমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ওজোপাডিকো-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমজাদ হোসেন বলেন, আমার মাঠকর্মী (লাইনম্যান) ২০ জন।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- বিদ্যুত বিভ্রাট
- লোডশেডিং
- বরিশাল