ভূমিকা রাখবে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়
চলমান মহামারীর সময়ে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ ও উদীয়মান ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে সম্প্রতি ‘অপরচুনিটিজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ শিরোনামে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত এ সম্মেলনের আয়োজন করে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই)।
এতে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) ও সিআইআইয়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে, যা দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সুযোগ-সুবিধাসহ অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।ভারতের কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র ও সংসদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী ভি মুরলীধরনের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, যুগ যুগ ধরেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মানবতার একটি সম্পর্ক রয়ে গেছে। আর এই মানবিকতায় অবদান রেখেছেন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাদের নেতৃত্বে আমরা উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এগিয়ে নেয়ার জন্য কাজ করতে পারছি। ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নয়নে একটি নতুন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়, যার ইতিবাচক ও উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে আমরা দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এগিয়ে নেয়াকে বলতে পারি।
তার ফলে ২০১৯ সালে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের মাধ্যমে ৯ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন আয়।সার্কের কভিড-১৯-এর জরুরি তহবিল থেকে বাংলাদেশের জন্য ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করায় উভয় দেশের নেতাদের প্রশংসা করে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, আমরা এই নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা ও দেশের অর্থনৈতিক সংকট পুনরুদ্ধারের জন্য ভারতীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। একই সঙ্গে এ সংকট থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য তাদের সহযোগিতাও কামনা করছি।উভয় দেশের মধ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য বিলাটেরাল ভ্যালু চেইন ইনিশিয়েটিভের (বিভিসি) উদ্যোগে এফবিসিসিআই বেশকিছু শক্তিশালী খাত চিহ্নিত করেছে। তার মধ্যে রয়েছে ভারত থেকে বাংলাদেশী পণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল, অভ্যন্তরীণ বাজারের ক্ষেত্রে এফকিউএফ পণ্য প্রবেশাধিকার বন্ধসহ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাগ্রো-প্রসেসিং, কেমিক্যাল, পোশাক ইত্যাদি।
এসব ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া যেতে পারে বলে বক্তব্য তুলে ধরেন এফবিসিসিআই সভাপতি।ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস বলেন, উভয় দেশের মধ্যে সুস্পষ্ট আমদানি ও রফতানি নিশ্চিত করতে অবকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে। সেই উন্নয়ন কাঠামোকে কেন্দ্র করে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য শক্তিশালী করার জন্য আমাদের কাছে আরো বিকল্প মাধ্যম রয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.