কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ভবিষ্যতের চিন্তায় ‘ঘুম নেই চোখে’ অনেক ক্রিকেটারের

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২০, ২৩:৪১

করোনাভাইরাসে বন্ধ দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। আন্তর্জাতিক তো বটেই, ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলা নেই। আর খেলা না থাকায় অনেক ক্রিকেটারের অভাব-অনটন হয়ে উঠেছে নিত্যসঙ্গী। অনেকে ব্যাট-বল ছেড়ে বেছে নিয়েছেন অন্য পেশা। কিন্তু যারা কেবল ক্রিকেটই পারেন, তারা আছেন সংকটে।

জীবন বাঁচানো কঠিন হয়ে উঠছে অনেক ক্রিকেটারের। অন্য পেশার মানুষ করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেও কাজ করছেন। কিন্তু খেলা বন্ধ থাকায় ক্রিকেটারদের কিছু করার নেই। গত ৪-৫ মাস ধরে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে গেলেও আগামীতে কী করে বেঁচে থাকবেন, সেই চিন্তায় ঘুম হারাম অনেক ক্রিকেটারের।

বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে উঠে এসেছেন টিপু সুলতান। চলতি মৌসুমে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিতে নাম লিখিয়েছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ২০১৮ সালে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষেকের পর একটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা এই ক্রিকেটারের রুটি-রুজি প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটই। এতেই সংসার চলে তার। কিন্তু করোনাভাইরাসে খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন টিপু।

চোখে ঝাপসা দেখছেন তিনি, ‘আমি তো চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় নই, বেতনও পাই না। এপ্রিলে বিসিবি ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিল। ওটাই পেয়েছি। আরও ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল, ওটা এখনও পাইনি। আমরা তো আসলে খেলেই জীবন চালাই। আমার জন্য সামনের পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হচ্ছে। কোনও নিশ্চয়তাও নেই, খেলাটা কবে শুরু হবে। যত তাড়াতাড়ি খেলা শুরু হবে আমি এবং আমার মতো অনেকেই বেঁচে যাব।’

শুধু টিপু নন, তার মতো অনেক ক্রিকেটারই তাদের সংসার চালান প্রিমিয়ার লিগ খেলে। কিন্তু করেনাভাইরাস তাদের জীবন থমকে দিয়েছে। প্রায় ১০ বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেট মাতিয়ে বেড়ানো এক ক্রিকেটার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘এতটা খারাপ অবস্থায় কখনোই পড়িনি। পুরো পরিবার নিয়ে আমি অথৈ সাগরে পড়েছি। বিসিবি বেতন দিচ্ছে। কিন্তু সেটায় আসলে হচ্ছে না। এবার লিগে বড় অঙ্কে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। কিন্তু খেলা না হওয়াতে টাকা পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। এভাবে কতদিন চলবো, জানি না। কীভাবে বেঁচে থাকব জানি না। বিসিবির দোষ দেবো না, তারা তো যতটুকু সম্ভব করছেই।’

চলতি মৌসুমে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে নাম লেখানো রবিউল ইসলামও জানালেন তার কঠিন পরিস্থিতির কথা, ‘ক্রিকেট খেলেই আমরা আমাদের সংসার চালাই। লিগটা হয়ে গেলে আমাদের কোনও চিন্তা থাকতো না। লিগে খেলে ওই টাকা দিয়ে আমরা অন্তত ৮-৯ মাস নিশ্চিতে থাকতে পারতাম। কিন্তু দিন দিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। আমরা যারা চুক্তিতে আছি, তারা না হয় বেতন পাচ্ছি, কিন্তু চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এছাড়া প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ ও তৃতীয় বিভাগ খেলা ক্রিকেটাররা খুব খারাপ অবস্থায় আছে।’

জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন কাছের কয়েকজন ক্রিকেটারের প্রসঙ্গ তুলে ধরলেন এভাবে, ‘সিরিজ বাতিলের পাশাপাশি আর্থিক দিক দিয়েও আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। আমি হয়তো বেতন পাচ্ছি। জাতীয় দলে দুই-তিন বছর যাই খেলেছি, এই দিয়ে আগামী কিছুদিন চলতে পারব। কিন্তু আমার কাছে খারাপ লাগে ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলোয়াড়দের জন্য। যারা প্রিমিয়ার লিগের ওপর নির্ভর করে থাকে, প্রিমিয়ার লিগের টাকা দিয়ে পুরো বছর পরিবারকে চালায়। ওই ধরনের অনেক ক্রিকেটারের সম্পর্কে আমি জানি। এক প্রিমিয়ার লিগ থেকে আরেক প্রিমিয়ার লিগে আসতে আসতে এদের টাকা শেষ হয়ে যায়। ২-৩ মাস ধার করে তারা সংসার চালায়। পরের প্রিমিয়ার লিগের টাকা দিয়ে ওই ঋণ শোধ করে।’

একটু দম নিয়ে এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আবার বললেন, ‘তারা কিন্তু এখন নিরুপায়। আমি শুধু এতটুকু বলব, এই পরিস্থিতিতে তো আর খেলা শুরু করা সম্ভব নয়। তবে যখনই খেলা শুরু হবে, তখন যেন প্রিমিয়ার লিগ দিয়েই খেলাটা শুরু হয়। এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিন পর অনেক ক্রিকেটার লজ্জাতেই মরে যাবে।’
জাতীয় দলের হয়ে খেলা শুভাগত হোমও বর্তমান পরিস্থতি নিয়ে শঙ্কিত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও