সিংড়ায় ১০২ জন গ্রাম পুলিশ পেল সাইকেল
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সিংড়ার মানুষ শান্তিতে ঘুমানে পারেনি ২০০৮ সালের আগে। সিংড়ার মানুষ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রতিটি রাত ডাকাতের ভয়ে পাহারা দিতে হয়েছে। তখন কিন্তু আমার গ্রাম পুলিশের ভাই-বোনেরা হাতে লাঠি ও মুখে বাঁশি নিয়ে গ্রামের পাহারা দিয়েছেন।
আজকে ১১ বছর জননেত্রী শেখ হাসিনার সুশাসনের কারণে চলনবিলের মানুষকে আর রাত জেগে পাহারা দিতে হয় না ডাকাতের ভয়ে, গ্রামবাসীকে জেগে থাকতে হয় না। কিন্তু তারপরও আমাদের সামাজিক অনেক ধরনের অপরাধ এখনও রয়েছে। সেগুলো প্রতিরোধে বিশেষ করে এই করোনাকালে সিংড়ার ৫ লক্ষ মানুষকে সচেতন করতে ভূমিকা রাখবেন।
তিনি আরো বলেন, এই সিংড়ার চলনবিল একটি প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকা ছিল। ১১ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনা এলাকার আইন শৃঙ্খলার উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তা-ঘাট এবং সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তার জন্য সকল ধরনের কর্মকাণ্ডের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। গত ১১বছরে চলনবিলবাসীর কাছে, সিংড়াবাসীর কাছে যতগুলো অঙ্গিকার করেছিলাম। আমরা কিন্তু ধাপে ধাপে, ধীরে ধীরে প্রত্যেকটি অঙ্গিকার প্রত্যেকটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করে সিংড়ার মানুষকে উন্নত জীবন উপহার দিতে পেরেছি।
পলক আরো বলেন, সিংড়া উপজেলা কিন্তু বিশাল এরিয়া। প্রায় ৫২৯ বর্গ কিলোমিটার। আয়তনের দিক থেকে মালদ্বীপের চেয়ে বড় আর সিঙ্গাপুরের চেয়ে একটু ছোট। সেই বিশাল এরিয়া কিন্তু গ্রাম পুলিশ হেঁটে কাজ করেন। করোনা দুয়োগে ঝুঁকিপূর্ণ কাজগুলো কিন্তু গ্রাম পুলিশই করেছেন।
রবিবার সকাল ১০টায় সিংড়া কোর্ট মাঠে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলা ১০২ জন গ্রাম পুলিশের মাঝে সাইকেল বিতরণকালে এসব কথা বলেন।