বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব ঘাটতি ৩ হাজার ৭০ কোটি টাকা
বেনাপোল কাস্টমস হাউসে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ধস নেমেছে। তবে অর্থ বছরের শুরু থেকেই রাজস্ব আহরণে পিছিয়ে ছিল বেনাপোল কাস্টমস। তারপর করোনার কারণে রাজস্ব আহরণ নেমে এসেছে অর্ধেকে। চলতি অর্থ বছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৬শ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। সেখানে আদায় হয়েছে ২ হাজার ৫৩৬ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা। কম রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ হাজার ৭০ কোটি ১২ লক্ষ টাকা।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের উপর ৬ হাজার ২৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বেনাপোল কাস্টমস হাউজকে। চলতি এ অর্থবছরে প্রথম ১১ মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেধে দেওয়া হয় ৫ হাজার ৬শ ৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
এসময় লক্ষ্য মাত্রার বিপরীতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আদায় করে মাত্র ২ হাজার ৫৩৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এখানে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ৩ হাজার ৭০ কোটি ১২ লাখ টাকা। এসময় ভারত থেকে পণ্য আমদানি হয়েছে ১৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬২৮ মে. টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য।
বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এক হাজার ১৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি ছিল। সে সময় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, সেখানে আদায় হয়েছে ৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদকএমদাদুল হক লতা জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি হলেও উচ্চ শুল্ক হারের পণ্য আমদানি হ্রাস পেয়েছে। উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানি হলে পাঁচ হাজার কোটি টাকার অধিক রাজস্ব আদায় হতো। পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ এবং উচ্চ শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানি কমে যাওয়ায় রাজস্ব ঘাটতির কারণ বলে মনে করেন তারা।
বেনাপেল বন্দরের ডাইরেক্টর মামুন তরফদার জানান, দেশে চলমান ১৩টি স্থল বন্দরের মধ্যে অন্যতম বেনাপোল স্থলবন্দর। ভারত থেকে পণ্য আমদানির জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা দেশের অন্য যে কোনো বন্দরের তুলনায় উন্নত। বেনাপোল থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। সে কারণে দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ পণ্য এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়। দেশের সিংহভাগ শিল্প কলকারখানা ও গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ এর বেশীর ভাগ পন্য আমদানি হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে।