প্রতারণা করে মাংস নেওয়ার সময় সেনাবাহিনীর ভুয়া সদস্য আটক
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পাগলা বাজার এলাকায় সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে একটি বাজার থেকে ৬৫ কেজি গরুর মাংস নেওয়ার সময় আফজাল মিনহাজ সংগ্রাম (৪৮) নামে প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২৮ জুন) সকালে এ ঘটনা ঘটে। আফজাল মিনহাজ সংগ্রাম নাটোরের বড়াই গ্রাম থানার চন্দিপুর এলাকার এরশাদ আলীর ছেলে। সে গাজীপুর কাশিমপুরের লালদীঘি এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন।
প্রতারণার ঘটনায় ফতুল্লার পাগলা বাজারের মাংস বিক্রেতা হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এসময় তার কাছ থেকে একটি ভুয়া আইডি কার্ড ও একটি লাঠি জব্দ করা হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহাদাত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, রোববার সকালে আফজাল মিনহাজ সংগ্রাম পাগলা বাজারে এসে নিজেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে একটি লাঠি হাতে নিয়ে মানুষ কেন শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখছে না তা নিয়ে স্থানীয় লোকদের এলোপাথাড়িভাবে মারধর করে জখম করে। লোকদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে রাস্তা ফাঁকা করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে বাজারের ভেতরে গিয়ে গরুর মাংস ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদের দোকানে গিয়ে ৬৫ কেজি মাংস ক্রয় করে ও ৬৫০ কেজি দরে মেমো করার জন্য বলে। সংগ্রাম তখন মাংসগুলো সিএনজিতে তুলে দাও আর ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তুলে দেবেন জানান।
সংগ্রামের আচরণ সন্দেহজনক হলে হারুন বাজার সমিতিকে অবহিত করেন। পরে বাজার সমিতির লোকজন এসে সংগ্রামকে জিজ্ঞেস করলে সেনাবাহিনীর ভুয়া সদস্য হিসেবে প্রমাণিত হয়। এসময় বাজার কমিটির লোকজন ফতুল্লা থানা পুলিশকে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুয়া সেনাবাহিনীর সদস্য সংগ্রামকে থানায় নিয়ে আসেন।
তিনি আরও জানান, সংগ্রাম এরআগে বিভিন্ন এলাকার গরুর মাংসের দোকানদারকে বোকা বানিয়ে মাংস নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। আর গত কয়েকদিন আগে একই কৌশলে ফতুল্লার শিবুমাকেট এলাকার এক গরুর গোস্তের ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩০ কেজি মাংস নিয়ে যায়।