ভারতের রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়েছে লাখ লাখ পঙ্গপাল। দিল্লি লাগোয়া গুরগাঁওয়ের ওপর দিয়ে পঙ্গপালের দল শনিবার উড়ে যায়। গুরগাঁও বা দিল্লির কোনো ক্ষতি না করলেও যেদিকে তাদের যেতে দেখা গেছে, সেই উত্তরপ্রদেশে ফসলের বড়সড় ক্ষতি তার করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শনিবার বেলা এগারোটার দিকে গুরগাঁওয়ের বহুতলের পনেরো তলার ঘরে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলেন জয় ভট্টাচার্য। হঠাৎই তিনি একটানা ঝিঁঝি পোকার ডাকের মতো, কিন্তু তার থেকে কয়েকশো গুন জোরালো শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন।
জয় ভট্টাচার্য বলেন, জানলা দিয়ে তাকিয়ে দেখি হাজারে হাজারে পঙ্গপাল ঠিক জানলার বাইরেই। আমার বন্ধুও গুরুগ্রামে থাকে। ওকে বলি দেখ, পঙ্গপাল হানা দিয়েছে আমাদের এখানে। তাড়াতাড়ি জানলা, দরজা সব বন্ধ করে দিয়েছিলাম। খুব ভালই জানি একবার ঘরে ঢুকে পড়লে বিপদ হবে। তারপরে আমি যখন ছবি তুলতে শুরু করি, আকাশে যেন হলুদ রঙের মেঘ ছেয়ে গেছে আর একটানা শব্দ। ক্যামেরার লেন্সে কারও আঙ্গুলের ছাপ পড়লে যেরকম আবছা হয়ে যায়, সেরকম ছিল ব্যাপারটা।
ভারতের কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয়ে পঙ্গপাল সতর্কীকরণ বিভাগের কর্মকর্তা মহেন্দ্র লাল গুজ্জর জানান, শুক্রবার রাজস্থানের ঝুনঝুনুর কাছে পঙ্গপালের একটি ঝাঁককে দেখতে পেয়ে সক্রিয় হয় সেখানকার কন্ট্রোল টিমটি। কীটনাশক ছড়িয়ে বহু পঙ্গপালকে মারাও হয়। বাকি দলটি তখন হরিয়ানার রেওয়ারির দিকে উড়ে যায়। পথে তারা তিনটি অংশে ভাগ হয়ে যায়। একটি যায় গুরুগ্রামের দিকে, একটি হরিয়ানার ফরিদাবাদের দিকে এবং শেষ দলটি যায় দিল্লির দ্বারকা অভিমুখে।
ভারতের মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ ও হরিয়ানায় পঙ্গপালের হানায় ফসল নষ্ট হয়েছে। এ নিয়ে ভারতের রাজধানীতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। দমকল বাহিনীদেরকে পঙ্গপালের দমনের জন্য মাঠে নামানো হয়েছে । পঙ্গপাল রাতে গাছে বিশ্রাম করে। তাই রাতেই কীটনাশক ছড়িয়ে পঙ্গপাল মারার কাজ চালানো হবে বলে দিল্লির রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.